আগৈলঝাড়ার মুক্তিযোদ্ধাদের ১৫ দিনের আল্টিমেটাম বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ককে মুক্তিযোদ্ধা সম্ভোধন করে একটি এনজিও’র অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার আহ্বান করাকে কেন্দ্র করে আগৈলঝাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এনিয়ে ওই অনুষ্ঠান আয়োজকে ১৫ দিনের সময় দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা। অন্যথায় এনজিও’র সকল কার্যক্রম বন্ধসহ বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা।

গত ২০ সেপ্টেম্বর আগৈলঝাড়ায় জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে বে-সরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, আগৈলঝাড়া এডিপি’র উদ্যোগে “এমডিএম নব সূচনা নামক একটি অর্থনৈতিক উন্নয়ন” প্রকল্পর পরিচিতি অনুষ্ঠানের সঞ্চালক আগৈলঝাড়া এডিপি ম্যানেজার অচিন্ত চাম্বুগং তার স্বাগত বক্তব্যর পর আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক ও ওই অনুষ্ঠানের তালিকাভুক্ত বিশেষ অতিথি ইউসুফ মোল্লাকে বক্তব্য দেয়ার জন্য তার নামের আগে বিশ্লেষণ অলংকার যোগ করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও তাকে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা বলে সম্ভোধন করেন। পরে ইউসুফ মোল্লা তার বক্তব্য রাখেন। ওই অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর খুলনা রিজিওনাল সহযোগি পরিচালক শৈবাল সাংমা। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রন জানানো হয়নি। অনুষ্ঠানের পরেই এ ঘটনা নিয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধারা বিক্ষোভে ফেঁটে পরেন। এর প্রতিবাদে গত শুক্রবার বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের যাচাই বাছাই কমিটির সভায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আইয়ুব আলী মিয়ার সভাপতিত্বে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযোদ্ধা সহকারী কমান্ডার আবু তাহের মিয়া, লিয়াকত আলী হাওলাদার, আ. রইচ সেরনিয়াবাত, নূর-ই-আলম শিকদার, আ. কাদের সরদার, সিরাজুল হক সরদার প্রমুখ।

এডিপির ম্যানেজার অচিন্ত চাম্বুগংকে মুক্তিযোদ্ধাদের ওই সভায় ডাকা হলে অচিন্ত চাম্বুগং আগৈলঝাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা অফিস আছে কিনা তা তিনি জানেননা বলে জানিয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র বাক যুদ্ধের আক্রমনে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ক্ষমা চাইলে মুক্তিযোদ্ধারা তাকে ৩ দিনের সময় দিলেও কমান্ডার আইয়ুব আলী মিয়া তাকে ১৫ দিনের সময় দিয়ে হুবহু অনুরুপ একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ক্ষমা চাইতে বলেন। ব্যর্থতায় উপজেলার মধ্যে তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধসহ বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষনা দেন মুক্তিযোদ্ধারা।