পুলিশের অভিযানে অবৈধ ভিডিও বিক্রেতা গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শিক্ষক কর্তৃক দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে মেলামেশার নগ্ন চিত্র গোপনে ভিডিও ধারন করে বন্ধুর মাধ্যমে দেদারছে বাজারে বিক্রির ঘটনায় শিক্ষকের নিজগ্রাম কোটালীপাড়া ও শশুড়ের গ্রাম আগৈলাঝাড়া উপজেলার সর্বত্র ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ সংবাদ সর্বত্র ছড়িয়ে পরলে সোমবার দিনভর আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ লম্পট শিক্ষক নিকুঞ্জ মধূ ও বাজারজাতকারীদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়।

একপর্যায়ে ওইদিন রাতে পুলিশ নিকুঞ্জর বন্ধু ফয়সালকে আটক করে। তার দেয়া স্বীকারোক্তিমতে পয়সারহাট বন্দরের আরিফ টেলিকম সেন্টারের স্বত্তাধীকারি আরিফুর রহমান ও তার দোকানের কম্পিউটার অপারেটর প্রিন্স খলিফাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এসময় তাদের দোকানের একটি কম্পিউটার জব্দ করা হয়।

আগৈলঝাড়া থানার এস.আই ইদ্রিস আলী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিনভর থানার এ.এস.আই আসাদ ও পি.এস.আই মাসুমকে সাথে নিয়ে শিক্ষক নিকুঞ্জ মধূ ও পর্নো সিডি বাজারজাতকারীদের গ্রেফতারের জন্য থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছি। গত রবিবার থেকে শিক্ষক নিকুঞ্জ ও তার বন্ধু ফয়সাল আত্মগোপন করে। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত দশটার দিকে পয়সারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফয়সাল খানকে আটক করা হয়। আটকের পর ফয়সালের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওইদিন রাতেই পয়সারহাট বন্দরের আরিফ টেলিকমে অভিযান চালিয়ে একটি কম্পিউটার জব্দসহ আরিফুর রহমান ও প্রিন্স খলিফাকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ঘটনায় থানার এস.আই ইদ্রিস আলী বাদি হয়ে অবৈধ পর্নো সিডি অবৈধ ভাবে বাজারে বিক্রির অপরাধে শিক্ষক নিকুঞ্জ মধু, আরিফুর রহমান ও প্রিন্স খলিফাকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল আদালতে প্রেরনকরা হয়।

উল্লেখ্য, কোটালীপাড়া উপজেলার হরিণাহাটি গ্রামের নির্মল মধুর পুত্র নিকুঞ্জ মধু আগৈলঝাড়া উপজেলার সোমাইরপাড় গ্রামের গৌরাঙ্গ অধিকারীর কন্যা মনিকাকে এক বছর পূর্বে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর নিকুঞ্জ স্ত্রী মনিকাকে নিয়ে তার (মনিকার) বাবার সোমাইরপার গ্রামের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। নিকুঞ্জ স্থানীয় ভাবে প্রাইভেট শিক্ষক হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেন। এরইমধ্যে সু-চতুর নিকুঞ্জ মধু তার স্ত্রী মনিকার সাথে মেলামেশার নগ্ন চিত্র ভিডিও ধারনের পর পর্নো সিডি তৈরী করে দেদারছে বাজারজাত করে।


OLD NEWS:

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শিক্ষক কর্তৃক দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে মেলামেশার নগ্ন চিত্র গোপনে ভিডিও ধারন করে বন্ধুর মাধ্যমে দেদারছে বাজারে বিক্রির ঘটনায় সোমবার শিক্ষকের নিজগ্রাম কোটালীপাড়া ও শশুড়ের গ্রাম আগৈলাঝাড়া উপজেলার সর্বত্র ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

“স্ত্রীর সাথে মিলনের ভিডিও ধারন করে বিক্রি করছে শিক্ষক স্বামী” শিরোনামে সোমবার অনলাইন গৌরনদী ডট কম ও দৈনিক জনকন্ঠের শেষের পাতায় একটি রির্পোট প্রকাশিত হলে পুলিশ প্রসাশনসহ সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়। ওইদিন দিনভর আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ লম্পট শিক্ষক নিকুঞ্জ মধূ ও তার বন্ধু ফয়সাল খানকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। একপর্যায়ে ওইদিন রাতে পুলিশ নিকুঞ্জর বন্ধু (পর্নো সিডির বাজারজাতকারী) ফয়সালকে গ্রেফতার করেছে।

অপরদিকে আগৈলঝাড়া ও কোটালীপাড়ায় জনকন্ঠের ফটোকপি বিক্রি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সোমবার এ দু’উপজেলায় আসা জনকন্ঠের প্রতিটি কপি মুহুর্তের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়। পরবর্তীতে উৎসুক জনতা প্রকাশিত সংবাদের কপি সংগ্রহের জন্য ভীড় করেন ফটোকপির দোকানে।

আগৈলঝাড়ার পত্রিকা এজেন্ট আজাদ রহমান জানান, সোমবার তার এখানে আসা প্রতিটি জনকন্ঠ বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ১’শ টাকায়। আগৈলঝাড়া থানার এস.আই ইদ্রিস আলী বলেন, গৌরনদী ডট কম ও দৈনিক জনকন্ঠের সংবাদ দেখে এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে সোমবার দিনভর থানার এ.এস.আই আসাদ ও পি.এস.আই মাসুমকে সাথে নিয়ে শিক্ষক নিকুঞ্জ মধূ ও তার বন্ধু ফয়সাল খানকে গ্রেফতারের জন্য থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছি। রবিবার থেকে শিক্ষক নিকুঞ্জ ও সোমবার সংবাদ প্রকাশের পর ফয়সাল আত্মগোপন করে। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত দশটার দিকে পয়সারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ফয়সাল খানকে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। স্থানীয়রা লম্পট শিক্ষক নিকুঞ্জ মধূকে গ্রেফতারসহ তার বন্ধু ফয়সালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।  

উল্লেখ্য, কোটালীপাড়া উপজেলার হরিণাহাটি গ্রামের নির্মল মধুর পুত্র নিকুঞ্জ মধু আগৈলঝাড়া উপজেলার সোমাইরপাড় গ্রামের গৌরাঙ্গ অধিকারীর কন্যা মনিকাকে এক বছর পূর্বে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পর নিকুঞ্জ স্ত্রী মনিকাকে নিয়ে তার (মনিকার) বাবার সোমাইরপার গ্রামের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। নিকুঞ্জ স্থানীয় ভাবে প্রাইভেট শিক্ষক হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেন।

এরইমধ্যে সু-চতুর নিকুঞ্জ মধু তার স্ত্রী মনিকার সাথে মেলামেশার নগ্ন চিত্র ভিডিও ধারনের পর তার বন্ধু ফয়সালের মাধ্যমে পর্নো সিডি তৈরী করে। সূত্র মতে, ফয়সালের মাধ্যমে দীর্ঘদিন থেকে ওই পর্নো সিডি বাজারজাত করা হয়। ফয়সাল আর নিকুঞ্জর একই গ্রামে বাড়ি। ফয়সাল হরিনাহাটি গ্রামের আব্দুস সামাদ খানের পুত্র। পয়সারহাট বন্দরে ফয়সাল টেলিকম এন্ড কম্পিউটার নামে ফয়সালের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।