উজিরপুরে মাদকের ছড়াছড়ি

আহমেদ জালাল, বরিশাল ॥ বরিশালের উজিরপুর উপজেলা এখন মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিনত হয়েছে। ক্রমেই মাদকের মরন নেশায় আসক্ত হচ্ছে উঠতি বয়সের কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে যুব সমাজ ও বয়স্করা। বিভিন্ন রুট থেকে বিভিন্ন পন্থায় অবৈধ ভাবে ফেনসিডিলের চালন পাচার হয়ে আসছে শুধু ফেনসিডিলই নয় গাজা ও নেশা জাতীয় ট্যাবলেট ইয়াবা মদ। মাদক বিরোধী অভিযানে র‌্যাব যতটা তৎপর ঠিক ততটা নিস্ক্রিয় পুলিশ ও মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর।

জানা যায়, যশোরের সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শার, পটুয়াখালী, কন্যাদাহ, বারপোতা, সাধীপুর, গাতীপাড়া ও চৌগাছার মালিশা সহ অন্তত বিশটি চোরা চালান ঘাট দিয়ে হরদম ফেনসিডিল যশোরে মজুত হয়। এরপর বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে বরিশালে আসে। এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় বাস, ট্রাক,এম্বুলেন্স, তরকারীর গাড়ী, কার্ভাট ভ্যান, মিনিবাস, নৈশকোচ ও মাছের গাড়ী। বরিশালে মাদক আসলে বিভিন্ন উপজেলায় পাচার হয়ে যায়। বিশেষ করে উজিরপুর উপজেলায় মাদক প্রবেশের বাহন গুলো নৌ পথে টলার, নৌকা, স্থল পথে মটর সাইকেল, বাস, ট্যাম্পু, রিক্সা, ভ্যান, টমটমে রোগীবহন করা গাড়ী ও বিভিন্ন কৌশলে প্রবশে করে থাকে। উপজেলা সদরের ইচলাদী বাসস্টান্ডে পুলিশ চেক পোষ্ট থাকা সত্বেও প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে ফাক ফোকরে চলছে ফেনসিডিল গাজা ও নোশা জাতীয় সকল মাদক দ্রব্য। শিকারপুর বাজার আশপাশ সহ এ উপজেলায় সানুহার, জয়শ্রী বাসস্টান্ড সহ এ উপজেলার সবকয়টি ইউনিয়নই মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিচিত।

এদিকে উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নে ঝালকাঠীর কলেজ মোড় থেকে মটর সাইকেল যোগে ভাউকাঠী, নবগ্রাম হয়ে নৌ রুটে,  ট্রলার, নৌকা স্থল পথে টমটম, ভ্যান, মটর সাইকেল করে পঞ্চগ্রাম হয়ে প্রবেশ করে। স্বরুপকাঠী থেকে নৌ পথে ট্রলার, ছোট লঞ্চ, বাস ও মটর সাইকেলে করে বানারীপাড়া রায়েরহাট, বোর্ড স্কুল, গুয়াচিত্র থেকে প্রবেশ করে। বরিশাল শহর থেকে বাস, মাহিন্দ্রা, টেম্পু, মটর সাইকেল যোগে গুঠিয়ায় প্রবেশ করে। অভিনব পন্থায় কাজী ফার্মের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অগচোরে মুরগীর বাচ্ছা বহনকারী গাড়ীতে করে গাড়ী চালক খলিলের নেতৃত্বে গুঠিয়ার নারায়ানপুরে ফেনসিডিলের চালান প্রবেশ করিয়ে তার পিতা মজিদ হাওলাদার ও গাড়ীর হেলপার খলিলের মাধ্যমে পশ্চিম নারায়নপুর কাজী ফার্মের আশপাশ ও বিভিন্ন স্পটে বসে বিক্রি করে থাকে। এছাড়াও পূর্ব নারায়নপুরের হোসেন আলীর পুত্র সজল, আলমের মটর সাইকেল গ্যারেজ এর আশপাশ বাগানে বিক্রি করে। দাসের হাট রুটে জে.এ.খান. স্কুল থেকে শুরু করে রহম আলী রেজিস্টার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশে পাশে বাবুল ফকির নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ছত্র ছায়ায় বেশ কিছু যুবক মরন ফাঁদ নেশা বিক্রি করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকুমার রায়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এ উপজেলার সবকটি ইউনিয়নেই পুলিশ অভিযান চলছে।