উজিরপুরে পরিবার কল্যান সহকারী পদে স্থায়ী বাসিন্দা না হয়েও নিয়োগ লাভের চেষ্টা

কল্যান কুমার চন্দ, উজিরপুর : পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক স্থায়ী বাসিন্দা না হয়েও পরিবার কল্যান সহকারী পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়ে এলাকায় ক্ষোভের ঝড় তুলেছেন পাশ্ববর্তী জল্লা ইউনিয়নের নুপুর মল্লিক নামে এক গৃহবধূ। এ ঘটনা উজিরপুর উপজেলার হারতা  ইউণিয়নের জামবাড়ী -কুচিয়ারপাড় গ্রামের ইউনিট – ২ /ক এলাকার। এ বিষয় কুচিয়ারপাড় গ্রামের আশালতা দাস নামক এক প্রার্থীর পিতা চিত্তরঞ্জন দাস লিখিত ভাবে বরিশালের জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিবার পরিকল্পনার সভাপতি , নিয়োগ ও বাছাই কমিটি এবং বরিশাল পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক , উজিরপুর উপজেলার পরিবার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও ২ নং হারতা ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে ইতমধ্যে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জেপ্র/বরি/সাধারন / ০৯-১ /২০১১-৭২৮ নং স্মারকে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট বিষয়টি তদন্তের জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। চিত্তরঞ্জন  দাসের অভিযোগ সূত্রে জানা যায় গত ১৭ এপ্রিল একটি স্থানীয় পত্রিকায় জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ওই বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক হারতা ইউনিয়নে ২ নং ওয়ার্ডের ২/ক জামবাড়ী কুচিয়ারপাড় গ্রামে একজন পরিবার কল্যান সহকারী (মহিলা ) নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে বহুপ্রার্থী আবেদন করেন। সেই সাথে একই গ্রামের অনাদি মল্লিক ও বিভারানী মল্লিকের পাশ্ববর্তী জল্লা ইউনিয়নে বিবাহ দেওয়া কন্যা নুপুর মল্লিক স্থায়ী বাসিন্দা না হয়েও ওই পদে আবেদন করে এবং পরীক্ষায় উর্ত্তীন হয়। নুপুর মল্লিক স্থায়ী বাসিন্দা না হয়ে ওই পদে চাকরি পাওয়ার যোগ্য নয় বলে স্থায়ী বাসিন্দারা প্রতিবাদের ঝড় তুললে নুপুর মল্লিকের পিতা অনাদি মল্লিক তরিঘরি করে গত ২ মে নুপুরের নামে ৫ শতাংশ জমি দলিল দিয়ে স্থায়ী বাসিন্দা বানানোর চেস্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। এব্যাপারে  নুপুর মল্লিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার শ্বশুর বাড়ীর স্থলে পিতার বাড়ির গ্রামে ওই পদে আবেদন করার যোগ্য বলে জানিয়েছেন। এ অবস্থায় হারতা ইউনিয়নে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।