অর্ধকোটি টাকার গাছ লুটপাট করা গাছ হজম করতে ৫ বছর পর টেন্ডার নাটক

আহমেদ আবু জাফর, ঝালকাঠিঃ সিডরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল কম্পাউন্ডের শতাধিক গাছসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্য বিভাগের উপড়ে ও বিধ্বস্থ হয়ে যাওয়া অর্ধকোটি টাকার গাছ হরিলুট জায়েজ করতে ৫বছর পর মঙ্গলবার এক টেন্ডার নাটক সম্পন্ন হয়েছে। সরকারী গাছ গুলোর  মধ্যে ভাল ও মূল্যবান গাছগুলো স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধবতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারন কর্মচারীরা খেয়ালখুশি মত আত্মসাত করেছে। কেউ বা এগাছ দিয়ে খাট-পালংসহ ঘরের ফার্নিচার তৈরী করে তাতেই ঘুমাচ্ছে ও ব্যবহার করছে আর কেউ তাৎক্ষনিক বিক্রি করে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। আর এসব কিছুর পরে উদ্বৃত্ত্ব কিছু গাছ ও লাকড়ি ৫ বছর পর প্রকাশ্য নিলাম ডেকে বিক্রি করে লুটপাট হালাল করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে গাছ আত্মসাতের অভিযোগ এনে হাসপাতালের প্রাক্তন ফার্মাসিষ্ট নূর মোহাম্মদ মল্লিক ২ অকটোবর ঝালকাঠি সিভিল সার্জন বরাবরে সিডরে ক্ষতিগ্রস্থ গাছ বিক্রয়ের সঠিক তালিকা তৈরী করে প্রকাশ্যে নিলামের আবেদন জানিয়েছিলেন। অভিযোগে বলা হয়েছে ঐ সময়ে শতাধিক গাছ পড়ে যাবার পর তৎকালীন আরএমও ডা: নওশের আলী লোকজন দিয়ে কাটিয়ে সিনিয়র ষ্টাফ নার্সের বাসায় রাখেন। ঐ গাছ থেকে হাসপাতালের প্রধান সহকারী মতিয়ার রহমান বাসার আসবাবপত্র তৈরী করছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। সিভিল সার্জনের নিকট অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং পূর্বেও এদের বিরুদ্ধে সরকারী সম্পদ আত্মসাতের সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগকারী জানিয়েছে ।

অভিযোগকারীরা আরো জানিয়েছে, সিডরের সময়ে শুধুমাত্র কীর্ত্তিপাশা হাসপাতাল এলাকারই ৩০ লক্ষাধিক টাকার গাছ বিধ্বস্থ হয়। যার পুরোটাই জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তা, স্থানীয় কর্মচারী ও স্বার্থন্বেষী মহল আত্মসাত করেছে।