আজো আদায় হয়নি লোনের সেই ২০ লক্ষ টাকা

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বিগত চার দলীয় জোট সরকারের শেষের দিকে বরিশালের গৌরনদীতে দুর্যোগ জনিত ঝুঁকিহ্রাস কর্মসূচীর আওতায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে লোনের নামে ভাগ বাটোয়ারা করে দেয়া হয় ২০ লক্ষ টাকা। সেই লোনের টাকা আজো আদায় করা হয়নি। উপজেলা প্রশাসন থেকে টাকা আদায়ের জন্য একাধিকবার তাগিদ দেয়া সত্বেও কর্নপাত করছেনা ওই সব নেতা-কর্মীরা। ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বরদের চাপদিয়েও টাকা আদায় করতে পারছেনা উপজেলা প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঋণের তুলনায় আইনী খরচের পরিমান বেশি হওয়ার কারনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছেনা। এ কারনে পুরো ঋনের টাকাই অনাদায়ি হওয়ার আশংকা করছেন উপজেলা প্রশাসন।

গৌরনদী ত্রান ও পুর্নবাসন অফিস (পিআইও) সুত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সনের শেষের দিকে নদী ভাঙ্গন, আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিজস্ব হয়ে যাওয়া লোকজনদের জন্য সরকারি ভাবে গৌরনদীতে ২০ লক্ষ টাকা ঋণ বরাদ্দ করা হয়। ২০০৬ সনের প্রথম দিকে গৌরনদী উপজেলার ৭ ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার ৩’শ ৩৩ জনের মধ্যে উক্ত লোনের টাকা ভাগবাটোয়ারা করে দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে মানাহয়নি কোন সরকারি নিয়ননীতি। দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা করে বন্টন করে দেয়া হয়। জানা গেছে, খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের জন্য ৩ লক্ষ, বার্থী ইউনিয়নের জন্য ৩ লক্ষ, চাঁদশী ইউনিয়নের জন্য ২ লক্ষ, মাহিলাড়া ইউনিয়নের জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার, বাটাজোর ইউনিয়নের জন্য ২ লক্ষ, নলচিড়া ইউনিয়নের জন্য ২ লক্ষ, সরিকল ইউনিয়নের জন্য ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং পৌর এলাকার জন্য ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলীয় লোকজন ও নিজস্ব আত্মীয়-স্বজনদের নাম দিয়ে ওই টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেন। দীর্ঘ ৬ বছর পরেও ঋনের টাকা আদায় না হওয়ায় বিপাকে পরেছে উপজেলা প্রশাসন।

গৌরনদী উপজেলা ত্রান ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ কবির উদ্দিন জানান, টাকা আদায়ের জন্য লোন গ্রহীতাদের তাগিদ দেয়া হচ্ছে কিন্তু তারা আমলে নিচ্ছেন না। তিনি আরো জানান, ঋণের তুলনায় আইনী খরচের পরিমান বেশি হওয়ার কারনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছেনা। এ কারনে পুরো ঋনের টাকাই অনাদায়ি হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।