নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লী এলাকা ধামুরা হারতা সাতলা জিসি-পয়সারহাট জিসি সড়কে সংস্কার করেছেন প্রভাবশালী এক যুবলীগ নেতা। এছাড়াও ঠিকাদারের বিরুদ্বে সড়ক নির্মান কাজে অনিয়ম দূর্নীতি ও নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা ।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজন , পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডি ও সংশিলষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বরিশালের উজিরপুরের ধামুরা-সাতলা-পয়সার হাট এলাকায় ভেরী বাধের উপর এলজিইডি পাকা সড়ক নির্মান কাজ শুরু করেন। উজিরপুর উপজেলার ধামুরা হারতা সাতলা জিসি– পয়সারহাট জিসি সড়ক সংস্কারের জন্য বরিশাল এলজিইডি জাইকার অর্থায়নে এস ডবিউ বি আর ডি পি নামে একটি প্রকল্প গ্রহন করেন। সড়ক সংস্কারের জন্য ৩ কোটি ৬৭ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকার প্রাককলন তৈরী করেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বরিশাল জেলা যুবলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য মেহেদী হাসানের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কহিনুর এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। টিকাদারী প্রতিষ্ঠান গত ১৫ মে কাজ শুরু করেন। স্থানীয় ও সুবিধাভোগীরা সড়ক সংস্কার কাজের ঠিকাদার প্রভাবশালী বরিশাল জেলা যুবলীগের নেতা মেহেদী হাসান ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কাজের শুরুতেই অনিয়ম ও দূর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। উজিরপুর উপজেলার অরুপ হালদার (৩০) স্থানীয় কাউয়ারেখা গ্রামের হগেন হালদার (৪০) মতিলাল (৩২) হাবিবপুর গ্রামের বাবুল শিকারী (৩৩) কেসবকাঠী গ্রামের মনি মোহন (৪৫)সহ স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ঠিকাদার ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে সংস্কার কাজে অনিয়ম দূর্নীতি ও নিন্মমানের নির্মান সামগ্রী দিয়ে কাজ করছেন। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে চিঠি দেন। চিঠিতে বলা হয়, বাহির থেকে মাটি সরবারহ করে সড়ক নির্মান করার কথা থাকলেও ঠিকাদার তা না করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধর বান, শেপের টো থেকে মাটি কেটে নিচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অধিক লাভের জন্য সড়ক সংস্কার কাজে নিয়মনীতি লংঘন করে অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে কাজ করেছেন। ওই গ্রামের মিন্টু মজুমদার, বিমল দাস,অনেকেই অভিযোগ করেন, ঠিকাদার সড়ক সংস্কার কাজে মেকাডম তৈরীতে পুরাতন পচা ইটের খোয়া ব্যবহার করেছে এবং ৬ ইঞ্চির স্থলে তিন সাড়ে তিন ইঞ্চি মেকাডম করেছে। নতুন এইজিং না করে পুরাতন এইজিং বেখে কাজ করা হয়। এ ছাড়া মাটির সরবারহ না করে রাস্তার পাশের সরকারি মাটি কেটে রাস্তায় ফেলছে। ফলে রাস্তাটি হুমকির মধ্যে রয়েছে। অভিযোগের ব্যপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কহিনুর এন্টারপ্রাইজের মালিক ও বরিশাল জেলা যুবলীগের সদস্য মো. মেহেদী হাসানের কাছে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নির্মান সামগ্রী ল্যাবে পরীক্ষা করে ছাড়পত্র নিয়ে সড়ক নির্মান কাজে ব্যবহার করা হয়।
এ প্রসঙ্গে এলজিইডি উজিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর অভিযোগপত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের কিছুটা সত্যতা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে বরিশাল -২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মনিরুল ইসলাম মনির কাছে জানতে চাইলে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন।