গৌরনদীর পরিশ্রমী জনপ্রতিনিধি

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ছাত্রজীবন থেকেই মানুষের সেবা করে আসছি। এখনতো আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে। এখন দায়িত্ব আরো বেড়ে গেছে। জীবনে Piklu Guhaযতদিন বেঁচে আছি ততোদিনই জনগনের সেবা করে যেতে চাই। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকায় ব্যাপক জনকল্যানমূলক কাজ করে তিনি পুরো দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। ভোর থেকে গভীর রাত অবধি তিনি একাই ছুটে চলছেন গ্রামের এ বাড়ি থেকে ও বাড়িতে। দীর্ঘক্ষণ সময় দিয়ে মনযোগ সহকারে শুনছেন জনগনের সুখ ও দুঃখের কথা। ছোটখাট সমস্যা তাৎক্ষনিকই তিনি মিটিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। বয়সে কনিষ্ঠ হওয়ার সুবাধে এলাকার ভোটার থেকে শুরু করে সর্বস্তুরের জনগনের কাছেই তার চাহিদা রয়েছে। নির্বাচনের পূর্বে ভোটারদের কাছে দেয়া তার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় তিনি সর্বদা নিজেকে উৎস্বর্গ করে দিচ্ছেন। তাইতো ছুটে চলছেন গ্রামের এ বাড়ি থেকে ও বাড়িতে। পরিশ্রমী এ জনপ্রতিনিধি হচ্ছেন গৌরনদী উপজেলার অবহেলিত মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু।

পারিবারিক আবহে ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সাথে নিজেকে জড়িয়ে নেন। সেই থেকেই মানুষের সেবায় তার যাত্রা শুরু। গৌরনদীর মাহিলাড়া ইউনিয়নের বিল্লগ্রামে তার বসত বাড়ি। বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা কালিয়া দমন গুহ একজন প্রবীণ রাজনিতীবিদ। সেও মাহিলাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। সে সময় ওই ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করা হলেও পরবর্তীতে ওই ইউনিয়নবাসী আর কোন কাজেই আলোর মুখ দেখেনি। গৌরনদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি কালিয়া দমন গুহ। তার দু’পুত্র সৈকত গুহ পিকলু ও সলিল গুহ পিন্টু। একটি রাজনৈতিক পরিবার হিসেবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় অসংখ্যবার তাদের ওপর নেমে আসে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের হামলা-মামলা ও নির্যাতনের খড়ক। তার পরেও কেউ তাদের কন্ঠ স্বব্ধ করতে পারেননি। বরাবরের ন্যায় তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন। তাইতো ইউনিয়নবাসীর অনুরোধে পিকলু সদ্য অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীতা করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধীর জামানত বায়েজাপ্ত হয়ে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে গোটা দক্ষিণাঞ্চলের সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তিনি নিজ উদ্যোগে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের জন্য একটি ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। এ জন্য তিনি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, স্ক্রিনসহ কম্পিউটার সামগ্রী ক্রয় করেন। নিজস্ব ইউনিয়ন পরিষদের কমপ্লেক্স ভবন না থাকায় মাহিলাড়া বাজারের একটি ঘর ভাড়া নিয়েই তিনি ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

এরইমধ্যে তিনি বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে ইউনিয়ের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ইটের ফ্লাই সলিং রাস্তা নির্মান, সাড়ে সাত লক্ষ টাকা ব্যয়ে ইরি-ব্লকের ড্রেন ও রাস্তা পাঁকা করন, ৬২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাস্তা কার্পেটিং, বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দিরের জন্য প্রায় ৮ লক্ষ টাকার অনুদান, বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজ, ৪০ দিনের কর্মসূচীর মাধ্যমে ৭ টি প্রকল্পে তিনি প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার উন্নয়ন মূলক কাজ সম্পন্ন করেছেন। ইউনিয়নকে শতভাগ স্যানিটেশনের আওতায় আনার জন্য তিনি এরইমধ্যে ইউনিয়নবাসীর মধ্যে বিনামূল্যে প্রায় পাঁচশতাধিক ল্যাট্টিন বিতরন করেছেন। এছাড়াও তিনি অবহেলিত মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের কমপ্লেক্স ভবন নির্মানের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে ইউনিয়নের মধ্যবর্তী বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের পাশ্ববর্তী বেজহার নামকস্থানে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জমি ক্রয় করেছেন।

তার ভাষ্যমতে, অবহেলিত মাহিলাড়া ইউনিয়নকে দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম একটি ডিজিটাল ও মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলাই হচ্ছে আমার মূল লক্ষ্য। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশজুড়ে যে গ্রামীণ অবকাঠামো চলছে তা পরিকল্পিত নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংসদ সদস্যদের ইচ্ছামাফিক কাজ হওয়ার সকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও জনগনের তা কোন কাজেই আসছে না। এ কাজে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।