বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসিমের পরীক্ষার প্রক্সি দিতে গিয়ে…

আহমেদ জালাল, বিশেষ প্রতিনিধিঃ বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দীন। এই ছাত্রলীগ নেতার হয়ে ডিগ্রী পরীক্ষার প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন বিএম কলেজের এক ছাত্র। বিষয়টি নিয়ে নগরময় ছাড়িয়ে গোটা বিভাগে বিশেষ করে রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড়ের সৃষ্টি করেছে।

যতদূর জানাযায়, জসিম উদ্দীন জসিম একসময় মাদ্রাসায় পড়ালেখা করত। মাদ্রাসা থেকেই যেভাবেই হোক আলিম পাস করে ছাত্রলীগ নেতা বনে যেতে সরকারী বরিশাল কলেজে ডিগ্রিতে (পার্স কোর্স) ভর্তি হয়। নানা মেকানিজমে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতির পদ ভাগিয়ে নিতে সক্ষম হন জসিম। নেতৃত্ব পর্যায়ে জসিমের ঠাঁই হওয়ায় খোদ ছাত্রলীগের মধ্যেই নিরভ ক্ষোভ বিরাজ করছে। কিন্তু কোন কারনে মুখ খুলতে পারছে না ক্ষুদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

ওদিকে জসিমের এহেন শিক্ষাজীবনের চিত্রের খবর ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন মহলে আজ সোমবার দুপুর থেকে ছড়িয়ে পড়ে। বিকেলে ঘটনাটি মিডিয়াসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে জনমনে আলোচনায় আলোচিত হয়। একে অপরের নিকট ফোন করে জসিমের ঘটনাটির বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন।

একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে জসিমের হয়ে প্রক্সি দিয়েছে বিএম কলেজের তৃতীয় বর্ষে পড়ুয়া আমিনুল ইসলাম আমিন। সৈয়দ হাতিম আলী কলেজের কেন্দ্রে এক শিক্ষিকা আমিনুল ইসলাম আমিনকে  চিহ্নিত করে। এরপরই শুরু হয়ে যায় জসিম ও তার সহযোগীদের তদবির। সেখানকার এক শিক্ষক জসিমের পক্ষ হয়ে ঘটনাটি চেপে যাওয়ার আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছেন। কলেজের অধ্যক্ষ তার ব্যক্তিগত সেল ফোন ঘটনার পর থেকেই বন্ধ করে রেখেছেন।

অপরদিকে ছাত্রলীগের একাধিক নেতা-কর্মী জসিমের এরকম বখাটেপনার ঘটনাটি মেনে নিতে পারছে না। তারা এ প্রতিবেদকের নিকট ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন জসিমরাই ছাত্রলীগের রাজনীতির ক্ষতিকারক। এদেরকে দিয়ে কখনোই সংগঠনের কোন উপকার হয় নি। এরা সংগঠনকে গতিশীল করার বিপরীতে বিতর্কিত কর্মকান্ড’র জন্ম দিয়ে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে চলছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও এখানকার আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের জসিমের নানা অপকর্মের সাংগঠনিক শাস্তির দাবী করেছেন।
 

এদিকে সেল ফোনে ছাত্রলীগ নেতা জসিম উদ্দীনের সঙ্গে প্রক্সি’র বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দ্বাম্ভিকতার সুরে বলেন, আমি এখন রাজধানী ঢাকায় রয়েছি। এখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছি। তিনি আরো বলেন, হাতেম আলী কলেজে আমার হয়ে কেউ পরীক্ষা দেয় নি। এরকম ঘটনাটি জানতে আরো কয়েক জন আমার নিকট ফোন দিয়েছে।