শ্যালকের সংসার রক্ষা করতে গিয়ে নিজের সংসার লন্ডভন্ড

মামুনুর রশীদ নোমানী, বরিশালঃ ছেলের নাম সাজ্জাদ আলামীন (৩৭) আগৈলঝড়া উপজেলার সুন্দর গাও গ্রামের আলউদ্দীন হাওলাদারের পুত্র পিরোজপুরের বালিপাড়া গ্রামের ইউসুফ তালুকদারের কন্যা হাফিজা আফরোজের সঙ্গে দীর্ঘ ১১ বছর পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। হাফিজাদের পৈত্রিক নিবাস বর্তমানে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার মেট্রো কলেজের পিছনে। ১টি ছেলে ও ২টি কন্যা সন্তানের জননী হাফিজা। হাফিজার স্বামী সাজ্জাদ আলামীন ঢাকায় একটি শিপিং কোম্পানীতে চাকরী করে। সাজ্জাদ অফিসে থাকার সুবাদে হাফিজা তার সিথি নামের এক বান্ধবীর সহায়তায় ও হাফিজার দুই ভাই যথাক্রমে ইকতিয়ার ও তসলিমের সক্রিয় সহযোগীতায় এবং তাদের বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণায় ঢাকার মান্ডা এলাকার মধ্যপাড়া গ্রামের জমিদার বাড়ীর ৫৪/কনম্বর ফ্লাট হইতে চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর স্বর্নালংকার, টিভি, ল্যাপটপ, সেলাইমেশিন সহ যাবতীয় মালামাল যার মূল্য ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়া খুলনায় তার বাপের বাড়ীতে উঠে। সে সঙ্গে হাফিজা তার তিন সন্তানকেও নিয়ে যায়। ওই দিন রাত ৯ টায় বাসায় ফিরলে বাসা তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখিয়া পাশের ফ্লাটের বাসিন্দা দেরকে জিজ্ঞাসা করে ও অনুসন্ধানে জানিতে পারে যে তার স্ত্রী তার তিন সন্তান সহ মালামাল নিয়া চলিয়া গিয়াছে। পাশ্ববর্তী বাসিন্দারা হাফিজাকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে হাফিজা তাদের কঠোর হুশিয়ার বানী জানিয়ে চলে যায়। সাজ্জাদ তার স্ত্রী-সন্তানসন্তনিদের অনুসন্ধান চালায়। এ ঘটনার পরের দিন ২৮ সেপ্টেম্বর সবুজবাগ থানায় স্বামী সাজ্জাদ একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। যার নং ১৮১৬ এবং জিডির কপি নিয়ে সাজ্জাদ খুলনায় চলে যান। ২ অক্টোবর রাতে খুলনার করিম বাহার মসজিদের পাশের রাস্ত্য়া সিথি ও হাফিজাকে হাফিজার তিন সন্তানসহ আটক করে। এদিকে সবুজবাগ থানা থেকে উক্ত জিডির বরাতে সবুজবাগ থানার ওসি সোনাডাঙ্গা থানার ওসিকে অবহিত করলে সিথি হাফিজা তাদের সন্তান এবং সাজ্জাদকে সোনাডাঙ্গা থানায় নিয়ে যায়। সিথি হাফিজা ও তার সান্তানদেরকে হাফিজার বাবা মা তাদের হেফাজতে বাসায় নিয়ে যায়। আর সাজ্জাদ থানার হেফাজতে থেকে যায়। পরের দিন সাজ্জাদকে তার মামা নিজাম নিয়ে আসে। ঘটনার কারণ ইকতিয়ারের বিবাহিত স্ত্রী কে নিয়ে নারী নির্যাতনের প্রচলিত ধারায় ঢাকায় আদালতে মামলা চলছে। ইকতিয়ারের স্ত্রী মিনু এ মামলার বাদী। যার মামলা নং ১৫৫/০৯ এ মামলায় হাফিজার ভাই ইকতিয়ার হাজতে যায়। সাজ্জাদ মিনুকে তার মামলা ও পারিবারিক সমস্যা গুছিয়ে দেয়ার শর্তে রাজী করায় এবং ইকতিয়ারকে জামিনে মুক্ত করে আনে। জামিনে গিয়ে ইকতিয়ার হাফিজাকে দিয়ে পারিবারিক আইনে মামলা করায় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। এবং ইকতিয়ার আত্মগোপন করে হাফিজার বান্ধবী সিথিকে নিয়ে সাজ্জাদকে বিভিন্ন কেস মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে। উল্লেখ্য, ইকতিয়ার মিনুর কাছ থেকে নগদ ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিয়েছে এবং ভূয়া ঠিকানা দিয়ে মিনুর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। খুলনায় হীরা নামীয় এক শিক্ষিকাকে বিবাহ করে সে। তাদেরই পারিবারিক ঝামেলা মিটানোর জন্য সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর চলতি বছরের ১৯ ফেব্র“য়ারী শালিসী বৈঠক করে। উক্ত বৈঠকে সাজ্জাদের পিতা উপস্থিত ছিলেন এবং বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চালান। এ জেরে হাফিজার সংসার আজ লন্ড-ভন্ড বলে পরিবারের দাবী। ইকতিয়ার ঢাকার পল্টন থানায় ২০০৭ সালের একটি সন্ত্রাসী মামলা আছে। সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। তসলিম অস্ত্র মামলায় খুলানায় ৭ বছর জেল খেটেছেন। হাফিজার পিতা অবসরপ্রাপ্ত সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার।