ঝালকাঠীতে বন বিভাগের ১০ লাখ টাকার গাছ বিক্রির অভিযোগ

আহমেদ আবু জাফর, ঝালকাঠি ॥ বন বিভাগের প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন জাতের দু’ই শতাধিক গাছ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঝালকাঠি জেলা শ্রমিকলীগ আহবায়ক ও  বাসন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন মল্লিক’র নেতৃত্বে এ গাছ গুলো কেটে বিক্রি করা হয়েছে।

বাসন্ডা ইউনিয়নের বাদলকাঠি মাঝি বাড়ির সামনে থেকে দারখি স্লুইজগেট পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের গাছ গুলো কাটা হয়েছে । গত ৩-৪ দিন ধরে গাছ কাটা শুরু হয়। কেটে প্রায় ৫০০ গজ দুরে একটি খালের পার্শ্বে সারিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আবার অনেক গাছ কাটার পর শিকর মাটি এমনভাবে ঢেকে দেওয়া হয়েছে, যাতে এখানে গাছ ছিল তা বোঝা না যায়। গাছ কাটার সাথে নিয়েজিত শ্রমিক সাইদুল মির বলেন, স্থানীয় ছালাম বেপারী নগদ ২ লাখ ৯০ হাজার টাকায় ১৩০ টি গাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কিনেছেন। আমরা তা কেটে নিচ্ছি। খলিলুর রহমান নামের অপর এক গাছ ক্রেতা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৬৫টি রেইন্টি গাছ দর দাম করে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় কিনেছি। তবে গাছ বিক্রিতে বন বিভাগের কোন অনুমতি আছে কিনা তা আমাদের জানানেই।

ওই সড়কের গাছ রক্ষনাবেক্ষন কমিটির সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, ১৯৯৭ সালে রাস্তার পাশে এক কিলোমিটার জুড়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করা হয়। বর্তমান বাজারে যার বাজার মূল্য প্রায় ১০ লাখ। রক্ষনাবেক্ষন কমিটির সভাপতি আব্দুল হক তালুকদার বলেন, গাছ বিক্রীর ব্যাপারে আমি কিছু বলতে অপারগতা  প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে বাসন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা শ্রমিক লীগ আহবায়ক মোবারেক হোসেন মল্লিক সাংবাদিকদের জানান, পরিষদের নিজস্ব জায়গায় রোপন করা গাছ রক্ষনাবেক্ষন কমিটি বিক্রী করেছে। অল্প কয়েকটি গাছের মালিক বন বিভাগ, বেশীর ভাগই পরিষদের, তাই অনুমতি নেয়া হয়নি। গাছ বিক্রীর টাকা নিয়ম অনুযায়ী ভাগ করা হয়েছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। এই ঘটনা এখনো আমি শুনিনি। এলাকাবাসি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে তদন্ত করে গাছের প্রকৃত মালিক ও গাছ চোরদের চিহ্নিত করার দাবী জানিয়েছেন। নয়তো সরকারী রাস্তার ওপর বন বিভাগের গাছ ক্রমশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে।