কোরবানি দিমু আল্লার নামে ভেজাল গরু কিনমু না

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ “কোরবানি দিমু আল্লার নামে। হেইয়াতে আর ভেজাল গরু কিনমু না”। গতকাল শনিবার দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহি গো-হাট বরিশালের গৌরনদী পৌর এলাকার কসবা গো-হাটে গরু কিনতে এসে কথাগুলো বলছিলেন উপজেলার দিয়াশুর গ্রামের ক্রেতা মোঃ জামাল উদ্দিন হাওলাদার। এ কথাশুধু তার একারই নয়। একইভাবে জানালেন কসবা গো-হাটে ঈদুল আজহার শেষ মুহূর্তে গরু কিনতে আসা অসংখ্য ক্রেতারা।

এখানকার পশুর হাটগুলো শেষ মুহুর্তে বেশ জমে উঠেছে। তবে ভারতীয় গরু কিংবা নিষিদ্ধ ঔষধে মোটাতাজা করন গরুর চেয়ে এখানে দেশি গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। দেশি জাতের গরুর আমদানি সবচেয়ে বেশি হওয়ায় অন্যবারের তুলনায় এবার গরুর দামও অনেকটা কম। ফলে হতাশ হয়ে পরেছেন গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলার খামারিরা। গো-খাদ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় এবারের কোরবানির ঈদের প্রথমার্ধে গৌরনদীর পশুর হাটগুলোতে গরুর দাম বাড়লেও হঠাৎ করে আবার তা কমতে শুরু করেছে।

সরিকল এলাকার গরু ব্যবসায়ী আব্দুর জব্বার সরদার জানান, গৌরনদীর কসবা গো-হাটটি দক্ষিণাঞ্চলেল সর্ববৃহৎ গো-হাট হিসেবে পরিচিত। কবসা গো-হাট ছাড়াও সরিকলে আরেকটি নিয়মিত গো-হাট রয়েছে। এছাড়া কোরবানি উপলক্ষে উপজেলার হ্যালিপ্যাড, মাহিলাড়া, বাটাজোর, খাঞ্জাপুর, পিঙ্গলাকাঠী, হোসনাবাদসহ প্রায় ২০টি স্থানে অস্থায়ী গরু-ছাগলের হাট বসেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেষ মুহুর্তে ওইসব হাটেও দেশি গরু বিক্রি হচ্ছে দেদারছে।