আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও পুলিশের বাঁধা অমান্য করে গৌরনদীতে রাতের আধাঁরে যুবলীগ নেতা কর্তৃক ব্যবসায়ীর সম্পত্তি দখল করে ঘর উত্তোলন

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ আদালতের স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও থানা পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে বরিশালের গৌরনদী পৌর যুবলীগ নেতা কর্তৃক ঈদের দিন রাতের আধাঁরে টরকী বন্দরের এক ব্যবসায়ীর পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখল করে ৫টি ঘর উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

টরকী বন্দরের ব্যবসায়ী ও সুন্দরদী গ্রামের হারুন-অর রশিদ মিয়ার পুত্র পান্না মিয়া অভিযোগ করেন, টরকী বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন বিভিন্ন দাগের ৯৪ শতক সম্পত্তি তার পিতা হারুন-অর রশিদ মিয়া দীর্ঘ ৪০ বছর পূর্বে স্থানীয় হরগবিন্দ সাধুর কাছ থেকে ক্রয় করেন। সেই থেকে তারা ওই সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছেন। এরইমধ্যে ওই সম্পত্তির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পরে স্থানীয় হেলাল উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র প্রভাবশালী যুবলীগ নেতা সলেমান হাওলাদারের। সে (সলেমান) নিলাম খরিদ সূত্রে ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে একাধিকবার ওই সম্পত্তি দখল করতে যান। উপায়অন্তুর না পেয়ে ব্যবসায়ী পান্না পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য বরিশাল আদালতে ওই জমির ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করান। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে প্রভাবশালী সলেমান হাওলাদার ঈদের দিন রাত সাড়ে দশটার দিকে তার ৩০/৩৫ জন সহযোগীদের নিয়ে ওই সম্পত্তিতে ঘর উত্তোলন করতে যান। এসময় পান্না বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘর উত্তোলনে বাঁধা প্রদান করে কাজ বন্ধ করে দেয়। পুলিশের উপস্থিতিতে কাজ বন্ধ করা হলেও ওইদিন গভীর রাতে যুবলীগ নেতা ও তার সহযোগীরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে ওইদিন গভীর রাতেই ব্যবসায়ীর সম্পত্তিতে ৫ টি অস্থায়ী কাঠের ঘর উত্তোলন করে। ব্যবসায়ী পান্না মিয়া তার পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম রাতের আধাঁরে জবরদখল করে ঘর উত্তোলনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধসহ আদালত থেকে পূর্ণ নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সম্পত্তিতে কোন কাজ না করার হুকুম জারি করেন। পুলিশ আসার পর রাতের আধাঁরে এ ঘর গুলো উত্তোলন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী পান্না মিয়াকে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। মামলা দায়ের করা হলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা সলেমান হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিলাম খরিদের মাধ্যমে আমার পিতা হেলাল উদ্দিন হাওলাদার ওই সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। এতদিন পান্না মিয়া জোরকরে আমাদের জমি দখল করে ভোগ করেছে। তাই জমি থেকে এবার অবৈধ দখলদার মুক্ত করা হয়েছে।