ঝালকাঠিতে উপজেলা চেয়ারম্যানের গুলি বর্ষনের ঘটনায় তোলপাড়

আহমেদ আবু জাফর, ঝালকাঠি ॥ ঝালকাঠি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ রাজ্জাক সেলিম’র গুলি বর্ষনের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। এ ঘটনায় কীর্ত্তিপাশা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস শুক্কুর মোল্লার পক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ঝালকাঠি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা ছাড়াও একটি জিডি (নং ৩৭৩) করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই ঝালকাঠি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

জানাগেছে, ঈদের দিন রাতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শুক্কুর মোল্লা তার সমর্থকদের নিয়ে ঝালকাঠি উপজেলা চেয়ারম্যানের বাউলকান্দা গ্রামের বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে পাশ্ববর্তী সৈয়দ  আফরুজ্জামান কল্লোলদের ঘরে ঈদের নিমন্ত্রন খেয়ে ফেরার পথে রাস্তায় বেঞ্চ পেতে শুক্কুর মোল্লার  পথরোধ করে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজনের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হলে উপজেলা চেয়ারম্যান আকস্মিক তার ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র বের করে শুক্কুর মোল্লাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।  কিন্তু গুলিটি লক্ষ্যভ্রস্ট হলেও কেউ হতাহত হয়নি, কিন্তু এলাকায় ভীতির সঞ্চার হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ৯টার দিকে শুক্কুর মোল্লার সমর্থকরা কল্লোলের বাড়ি থেকে ফেরার পথে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে শুক্কুর মোল্লার গতিরোধ করে। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান রাজ্জাক সেলিম ও তার ছোট ভাই জহিরুল ইসলাম স্বপনসহ ২০-২৫জন  সহযোগি শুক্কুর মোল্লার লোকজনকে আটক করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে রাজ্জাক সেলিম তার রিভলবার দিয়ে গুলি ছোড়লে এলাকায় আতংক সৃষ্টি হয়।

এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান রাজ্জাক সেলিম জানিয়েছেন, শুক্কুর মোল্লা ১০টি মোটর সাইকেল বহর নিয়ে মহড়া দিয়ে এলাকায় ভীতি সৃষ্টির চেষ্টা করে । এ সময় তিনি থামানোর জন্য গুলি  করে ভয় দেখানোর কথা স্বীকার করেন। অন্যদিকে সাবেক চেয়ারম্যান শুক্কুর মোল্লা জানিয়েছেন, আমি ঈদের দিন রাতে ৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে ১০জন লোক কল্লোলদের বাড়িতে বেড়াতে যাই। ফেরার পথে রাজ্জাক সেলিম তার লোকজন নিয়ে আমার গতিরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে সে আমাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষন করে। কিন্তু গুলিটি আমার শরীরের পাশ দিয়ে চলে গিয়ে প্রানে রক্ষা পাই।

ঝালকাঠি থানার ওসির দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক সাহাবউদ্দিন জানিয়েছেন, রাত ৮টার দিকে শুক্কুর মোল্লা মোটর সাইকেল যোগে তার সমর্থকদের নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে হর্ন বাজিয়ে যায়। পরে রাত ৯টার দিকে ফেরার পথে উপজেলা চেয়ারম্যান রাজ্জাক সেলিম শুক্কুর মোল্লার লোকজনকে থামিয়ে হর্ন বাজিয়ে যাবার কারন জিজ্ঞেস করে। এ সময় উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে রাজ্জাক সেলিম গুলি বর্ষন করে বলে তিনি স্বীকার করেন।