বরিশালে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বাবুগঞ্জের রামপট্টি নামকস্থানে সড়ক দূর্ঘটনায় ফারুক হোসেন নামের এক ভ্যানচালক নিহত হওয়াকে কেন্দ্র করে জনতা সড়ক অবরোধ করে যাত্রীবাহী বাসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করলে জনতা ও পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া গুলিবর্ষন এবং সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বাদি হয়ে আট’শ জন এলাকবাসির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বাবুগঞ্জ উপজেলার  রামপট্টি নামকস্থানে মঙ্গলবার বিকেলে একই এলাকার ভ্যানচালক মোঃ ফারুক হোসেন (৩০) তার ভ্যান গাড়ীটি নিয়ে সড়কের পাশে অবস্থান করে। এসময় বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা অজ্ঞাতনামা একটি পরিবহন পিছন থেকে ভ্যান চালক ফারুক হোসেনকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এতে ভ্যান চালক ফারুক হোসেন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা মহাসড়কে স্প্রীড ব্রেকার নির্মানের দাবিতে তাৎক্ষনিক ভাবে মহাসড়ক অবরোধ করে ৪/৫টি যাত্রীবাহী বাস ভাংচুর ও বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা ফরিদপুরগামী যাত্রীবাহী এ.আলম পরিবহন (ফরিদপুর-ব-০৫-০০০১) ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ করে। এতে পুলিশ বাঁধা প্রদান করলে পুলিশ ও জনতার সাথে প্রায় ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশ জনতার তোপের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। এসময় মহাসড়কের দু’পার্শ্বে শত শত যানবাহন আটকা পরে। বরিশাল থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আসলেও বিক্ষুব্ধ জনতার সাথে পূর্ণরায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে জনতা পুলিশের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশ কনস্টেবল তপন ও এ.আলম পরিবহনের চালক মোঃ জীবনসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৩/৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষন করে। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ সাখাওয়াত হোসেন বাদি হয়ে ওইদিন রাতেই পুলিশের কাজে বাঁধা প্রদান ও গাড়ীতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে  স্থানীয় ৮’শ এলাকাবাসি নামে মামলা দায়ের করেন।