লালমোহন প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে কর্মকর্তা ও চিকিৎসকের পদ শূন্য

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ভোলার লালমোহন উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা,ভেটেরিনারি সার্জনসহ ৪ জন কর্মকর্তা – কর্মচারীর পদ শূন্য রয়েছে বছরের পর বছর। ফলে উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পশু ও প্রাণী চিকিৎসা দিয়ে বিপাকে পড়েছেনে।

এই সূযোগে এক শ্রেনীর হাতুরে ডাক্তার রোগাক্রান্ত গবাদি পশুর মালিকদের সাথে প্রতারনায় মেতে উঠেছে। তারা অফিস চলাকালিন সময়ে পশু হাসপাতলের সামনে বসে থেকে অসহায় পশু মালিকদের ফাঁদে ফেলে সর্বশান্ত করে ছাড়ছে।  

লালমোহন উপজেলা পশু হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসকের দুটি পদের মধ্যে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ খান মো:আব্দুল হাই ২০০২ সালে বদলি হলে তার স্থলে কেউ যোগদান করেনি। ভেটেরিনারি সার্জন ডা: যোবায়ের হোসেন গত মাসে বদলি হওয়ার পর থেকে এ পদটিও শূন্য রয়েছে। এছাড়া সহকারী পশু সম্পদ কর্মকর্তা, অফিস সহকারী,বিএসএ,এমএলএসএস সহ গুরুত্বপূর্ণ পদ গুলো দীর্ঘ দিন ধরে শূন্য রয়েছে। উপজেলায় প্রায় ৪০০ টি পোলট্রি ১৫ টি ডেইরি ফার্ম আছে।এছাড়া প্রায় ১ লক্ষ পরিবার হাসঁ-মুরগি ও গরু-ছাগল পালন করে থাকে । গৃহ পালিত প্রাণীর নিয়মিত চিকিৎসা,রোগ-ব্যাধির প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা,প্রতিষেধক টিকা দান,কৃত্রিম প্রজনন ও পশু পালন প্রশিক্ষণসহ কোন রকম ব্যবস্থানেই।

দুদ্ধগরু পালনকারী জাফর হাওলাদার বলেন, তার গাভী অসুস্থ হয়ে পড়লে লালমোহন পশু হাসাপালে নিয়ে গেলে কোন রকম চিকিৎসক না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। কারন তার অনেক কষ্টের টাকায় তিনি ৪টি দুধের গাভী পালন করেন। এর আয় থেকে তার সংসার চলে। লালমোহন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ.কে.এম নজরুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পশু হাসাপাতালে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি সার্জন না থাকায় গবাদি পশুর
চিকিৎসা সেবার ব্যাঘাত ঘটছে।