বাবুগঞ্জে পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার আতংকে গ্রামবাসি

উম্মে রুম্মান, বরিশাল ॥ বাবুগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহতের ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ জনতার বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা অজ্ঞাতনামা  ৮শত গ্রামবাসীর মাঝে এখন গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে।ওই এলাকার মহিলারা তাদের সংসার নিয়ে পড়েছে বিপাকে।

 জানা গেছে, ৮ নভেম্বর বিকালে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বাবুগঞ্জের রামপট্রি নামক স্থানে অজ্ঞাতনামা বাসের চাঁপায় ভ্যানচালক শহিদুল ইসলাম ফারুক নিহতের ঘটনায় স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে। এসময় বিক্ষুদ্ধ জনতা পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে ৫টি যাত্রীবাহী বাস গাড়ী ভাংচুর করে এবং একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করায় পুলিশ জনতার সাথে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও পুলিশ ফাঁকা গুলি বর্ষন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনলেও পুলিশ সহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে পলিশের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে রামপট্রি ও আশপাশ এলাকার অজ্ঞাত নামা ৮ শত জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলে রামপট্রি গ্রাম ও আশপাশ এলাকার পুরুষ লোক পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে এখন পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে। এখন ওই গ্রামের নিরিহ লোকদের মাঝেও গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে।

অপর দিকে ওই গ্রামে কোন পুরুষ লোক না থাকায় মহিলারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে পড়েছে বিপাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান,গত এক বছরে রামপট্রি নামক স্থানে সড়ক দূর্ঘটনায় শিশুসহ ১৩ জন লোক নিহত হয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয়দের দাবীর মূখে প্রশাসন একাধিক বার ওই সড়কে গতিরোধক দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আসলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। সড়ক দূর্ঘটনায় পর ঘাতক বাসটি পালিয়ে গেলেও প্রশাসন তার কোন ব্যাবস্থা না নিয়ে উল্টো গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে।