কোন হাউজিং কোম্পানীকে সরকারের পক্ষ থেকে কুয়াকাটায় কোন অনুমতি দেয়া হয়নি- ভূমি সচিব

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আবাসন ব্যবসার নামে কৃষি জমিতে হাউজিং ব্যবসার জন্য পর্যটন এলাকা কুয়াকাটায় কোন হাউজিং কোম্পানিকে সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের অনুমতি দেয়া হয়নি। এসংক্রান্ত কোন বিজ্ঞাপন প্রচার করা শুধু প্রতারনার শামিল বলে তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। রোববার সকালের দিকে কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন সভা কক্ষে ল্যান্ড জোনিং বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন সভায় ভুমি ভূমিন্ত্রণালয়ের সচিব মো.মোখলেছুর রহমান এ কথা বলেন।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক গোলাম মো.হাসিবুল আলমের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী। ওরিয়েন্টেশনে ল্যান্ড জোনিং বিষয় ভিত্তিক প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন কোস্টাল ল্যান্ড জোনিং প্রজেক্টের টিম লিডার চীফ টেকনিক্যাল এক্সপার্ট আব্দুল হালিম মিয়া।

এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান,ভাইস চেয়রম্যান সুলতান মাহমুদ,কলাপাড়া পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা এসএম রাকিবুল আহসান,উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা নিরুত্তম কুমার সরকার,মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ সৈয়দ নাসির উদ্দিন,মোজাহারউদ্দিন বিশ্বাস কলেজের(ভারপ্রাপ্ত)অধ্যক্ষ নুর বাহাদুর,প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মেজবাহউদ্দিন মাননু,ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের প্রশাসক অধ্যাপক দেলওয়ার হোসেন,ইউপি চেয়ারম্যান কেএম খালেকুজ্জামান,আব্দল মালেক খান,মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা,উপজেলা বনকর্মকর্তা খন্দকার ইয়াকুব আলী খন্দকার প্রমুখ।

ভুমি সচিব বলেন, শুধূমাত্র হাউজিং কোম্পানিগুলোর ক্রয় করা জমির মধ্যে সরকারি কোন খাস জমি আছে কিনা তার জন্য তাদেরকে ইতোপূর্বে জেলা প্রশাসন থেকে জানতে চেয়ে চিঠি দেয়া হয়। বর্তমানে কেবলমাত্র হাউজিং কর্তৃপক্ষ গঠন প্রক্রিয়া চলছে। যার কার্যক্রম এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়নি। টিম লিডার ম্যাপিংএর মাধ্যমে উপস্থাপন করে দেখান যে প্রকল্প এলাকাভূক্ত উপজেলা এবং প্রত্যেক ইউনিয়নের কৃষি জমি, খাল, বনাঞ্চল, একফসলী, অধিকফসলী এবং রবিশস্যের আবাদী এলাকা চিহ্নিত করা রয়েছে। রয়েছে বাড়িঘর রাস্তাঘাটের মানচিত্র।

তিনি আরোও বলেন,কৃষি,পশু-সম্পদ,বন, চিংড়িচাষ,শিল্প উন্নয়ন,পর্যটন এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ভূমির গুনাগুন ও বৈশিষ্ট অনুযায়ী এর পরিকল্পিত ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং যাতে ভূমি বিষয়ক দ্বন্দ্ব নিরসন করে ভূমির সর্বোচ্চ আর্থিক সুফল অর্জনের লক্ষ্যে ভূমি জোনিং কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে । উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯টি জেলার ১৫২টি উপজেলায় ল্যান্ড জোনিংএর কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়। যা কলাপাড়া উপজেলার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।

ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারনে পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত কৃষিজমির সার্বিক পরিমান বিভিন্ন কারনে উদ্বেগজনকভাবে হ্রাস পাওয়ার ধারা প্রতিহত করাই ল্যান্ জোনিংএর প্রধান উদ্দেশ্য। কৃষি জমি চিহ্নিত করে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার এর বাড়তি খাদ্য উৎপাদনকে টার্গেট করে ল্যান্ড জোনিং কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।