নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল গ্রামে ক্রেতাসেজে র্যাব সদস্যরা গতকাল সোমবার রাতে উদ্ধার করেছে ১৩’শ ৭৮ বোতল ফেনসিডিল। এসময় মাদক সম্রাট জাফর আকনকে র্যাব সদস্যরা আটক করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (রাত নয়টা) বিভিন্ন ব্যাঙ্কারে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল র্যাব-৮ এর একটি দল সোমবার সন্ধ্যায় ক্রেতাসেজে মাদক সম্রাট জাফরের বাড়িতে ফেনসিডিল ক্রয়ের জন্য যায়। এসময় র্যাব সদস্যরা ফেনসিডিলসহ মাদক সম্রাট জাফর আকনকে আটক করে। পরবর্তীতে র্যাবের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসতে থাকে বিপুল পরিমান ফেনসিডিল। রাত নয়টা পর্যন্ত র্যাব সদস্যরা জাফরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার (জাফরের) বাড়ির বিভিন্নস্থানের ব্যাঙ্কারে লুকিয়ে রাখা ১৩’শ ৭৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে। সূত্রে আরো জানা গেছে, জাফরের বাড়ির বিভিন্নস্থানের গোপন ব্যাঙ্কারের মধ্যে আরো বিপুল পরিমান ফেনসিডিল রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিরা জানান, জাফর দীর্ঘদিন থেকে থানার কতিপয় অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, কালকিনি, উজিরপুর, বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলার মাদক বিক্রেতাদের কাছে পাইকারী মুল্যে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বিক্রি করে আসছে। সম্প্রতি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জাফরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ফেনসিডিলসহ সম্রাট জাফরকে আটক করেছিলো। ওইসময় জাফরের সহযোগীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর অর্তকিত ভাবে হামলা চালিয়ে হ্যান্ডকাফসহ জাফরকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। অতিসম্প্রতি গৌরনদী থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পিকআপ ভর্তি ফেনসিডিল আমদানির সময় অভিযান চালিয়ে মাছের ঝুঁড়ির মধ্যে থাকা বিপুল পরিমান ফেনডিসিল উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও সম্রাট জাফর পালিয়ে যায়। এ অভিযানের পর থেকে জাফরের ফেনসিডিল ব্যবসা কিছুটা স্থিমিত হয়ে পরে। গত তিনদিন পূর্বে গৌরনদী থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম গৌরনদী থানা থেকে বাখেরগঞ্জ থানায় বদলি হওয়ার পর সম্রাট জাফর পূর্ণরায় তার ব্যবসা জমজমাট করে তোলে।