আহমেদ আবু জাফর, ঝালকাঠি ॥ র্যাব ও পুলিশের অভিযানে ঝালকাঠিতে ৩ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৬ রাউন্ড গুলিসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গাবখান ব্রিজ এলাকা থেকে একটি বিদেশী এলজি, একটি একনলা বন্দুক ও ৪ রাউন্ড গুলিসহ ৩ জনকে আটক করে র্যাব-৮। মঙ্গলবার রাতে র্যাব-৮’র ডিএডি মোঃ আলী হায়দারের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল গাবখান ব্রিজ এলাকায় চেকপোষ্ট বসিয়ে ২টি মোটর সাইকেলসহ ৫ ব্যক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে। এদের মধ্যে ৩ জনের দেহ তল্লাসী করে উল্লেখিত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এসময় অন্য দু’জন মোটর সাইকেল দুটি নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
আটককৃতরা হচ্ছে পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার রাধানগর গ্রামের মৃত বিনোদ হাওলাদারের ছেলে সরদার গৌতম হাওলাদার (৪৫), পাঙ্গাসিয়া গ্রামের মৃত মুনসুর আলী হাওলাদারের ছেলে আবুল কালাম হাওলাদার (৫০) ও রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের মৃত মকবুল হাওলাদারের ছেলে আলতাফ হাওলাদার (৩৮)। ওই তিনজনের কাছ থেকে একটি বিদেশী এলজি, একটি এক নলা বন্ধুক, ৪ রাউন্ড গুলি ও দুইটি টর্চ লাইট উদ্ধার করা হয়। তারা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে ঝালকাঠির কীর্ত্তিপাশায় ডাকাতির উদ্দেশ্য যাচ্ছিলো। তাদের সংঘবদ্ধ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে পিরোজপুর ও ঝালকাঠির বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতির অভিযোগে একাধিক মামলাও রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ঝালকাঠি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
ঝালকাঠি থানার ওসি আবুল খায়ের সাংবাদিকদের জানান, আটককৃতরা আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য এবং ডাকাতির উদ্দেশ্যে ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা যাচ্ছিল বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানার ডাকাতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী। এদের ঝালকাঠি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যদিকে ঝালকাঠি রাজাপুর থেকে একটি কাটা রাইফেল ও ২ রাউন্ড গুলিসহ জামাল নামে এক ভারাটে কিলারকে গ্রেফতার করেছে রাজাপুর থানা পুলিশ। ঝালকাঠি- পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বলাইবাড়ি এলাকা থেকে তাকে মঙ্গলবার রাতে আটক করা হয়। ভান্ডারিয়া উপজেলার ইকরি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই হাওলাদারকে হত্যার জন্য ভাড়া করা হয়েছিল বলে সে পুলিশকে জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার উপ-পরিদর্শক আঃ হালিম তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, আটককৃত জামাল ভান্ডারিয়া উপজেলার আতরখালী গ্রামের সুলতান মোল্লার ছেলে। সে চট্্রগাম থেকে অস্ত্র নিয়ে আসছে এ খবর পেয়ে বলাই বাড়ি থেকে পুলিশ আটক করে। জানাগেছে, ২০১০ সালে এই ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে কলেজ ছাত্র মোঃ আল আমিন (২০) দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হয়।