বখাটেদের লালসার শিকার স্কুল ছাত্রী ফাতেমা

এজাহারে প্রকাশ, উপজেলার সাহেবেরচর গ্রামের দিনমজুর কালাম হাওলাদারের কন্যা ফাতেমার সাথে স্থানীয় নুরুজ্জামানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে সুবাধে নুরুজ্জামানের অপর বন্ধু সাইদুল হাওলাদার (১৮), রাশেদ চৌকিদার (১৮) ও মন্টু মাতুব্বরের (১৮) সাথে ফাতেমার পরিচয় হয়। নুরুজ্জামানের বন্ধুরা একেক সময় একেকজনে ফাতেমাকে প্রেমের প্রস্তাবসহ নানা কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। ফাতেমা তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বখাটেরা তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদর্শন করে। তাদের অব্যাহত হুমকির মুখে ফাতেমা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। ফাতেমার দিনমজুর পিতা এ ঘটনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে নালিশ দেয়। এতে বখাটেরা আরো ক্ষিপ্ত হয়। গত ৭ এপ্রিল গভীর রাতে নুরুজ্জামানসহ তার ৫/৭ জন বন্ধু মিলে ফাতেমাদের বাড়িতে সন্দেহমূলকভাবে ঘোরাফেরা করে। এ সময় কালাম হাওলাদার ডাক চিৎকার দিলে তারা পালিয়ে যায়। এর তিনদিন পর গত ১০ এপ্রিল রাতে ফাতেমা বাড়ি থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর ১৬ এপ্রিল সাহেবেরচর এলাকার আনোয়ারের আখ ক্ষেত থেকে পুলিশ ফাতেমার বিকৃত লাশ উদ্ধার করে। ফাতেমার পরিবার তার পরিধেয় বস্ত্র দেখে ফাতেমাকে সনাক্ত করে। ওই দিনই স্থানীয় লোকজন বখাটে মন্টু মাতুব্বরকে আটক করে গনধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে। এ ঘটনায় ফাতেমার পিতা কালাম হাওলাদার বাদি হয়ে মুলাদি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ফাতেমার পিতা কালাম হাওলাদার অভিযোগে করেন, তার কন্যাকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও প্রধান অভিযুক্ত আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় ফাতেমা হত্যার সঠিক বিচার পাবেন কিনা তা নিয়েও তিনি দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।