লালমোহনে কোকো ট্র্যাজেডি স্মরণে টানানো ব্যানার পুড়িয়ে দিয়েছে ক্যাডাররা

বরিশাল প্রতিনিধি ॥ ভোলার লালমোহন উপজেলায় এমভি কোকো-৪ লঞ্চ ডুবির দু’ বছর পুর্তিতে নিহতদের স্মরণে  শোক, দোয়া ও বিভিন্ন দাবি জানিয়ে আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি মেজর ( অবঃ)  জসিম উদ্দিনের সৌজন্যে টানানো ব্যানার পৌর মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা এমদাদুল ইসলাম তুহিনের ক্যাডার বাহিনী পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঢাকা থেকে ছাপিয়ে আনা কোকো ট্র্যাজেডির বিভিন্ন ছবিসহ শোক দোয়ার ব্যানার লালমোহন বাজারে টানাতে গেলে  প্রথমে ক্যাডাররা বাধা দেয়। এরা ওই ব্যানার খুলে নিয়ে যায়। এমন কি যারা ব্যানার লাগিয়ে ছিল তাদের হুমকী দেয়া হয়। মেজর জসিম উদ্দিন শুক্রবার বিকালে তার বাসায় উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এ সব অভিযোগ তুলে ধরেন।

ভোলা-৩ আসনের সাবেক এমপি মেজর অবঃ জসিম উদ্দিন জানান, ২০০৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঈদের আগের রাতে লালমোহন নাজিরপুর ঘাটে এমভি কোকো-৪ লঞ্চ ডুবিতে লালমোহনের শতাধিক মানুষ মারা গেছ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেড় হাজার মানুষ। ওই লঞ্চ ডুবির সময় তিনি ভোলা-৩ আসনের এমপি ছিলেন। ওই সময় তারই নেতৃত্বে যাত্রীদের উদ্ধার কাজ চলে। ওই সময় নিহতদের স্মরণে গত বছরও তিনি নদী পাড়ে শোক সভা ও দোয়া আয়োজন করে ছিলেন। এ বছরও তার পক্ষ থেকে এদের স্মরনে লালমোহন বাজারে ৭ /৮ টি ব্যানার গতকাল টানানো হয়। পৌর মেয়রের পালিত রাস্তার মাথার ক্যাডাররা তা খুলে নিয়ে যায়। উত্তর মাথা ও বাজারের ব্যানার দুটি পুড়িয়ে দিয়েছে। তিনি কোকো ট্রাজেডির জন্য অভিযুক্তদের  কেন আইনের আওতায় আনা হয় নি। এ দাবি নিয়ে জনমত গড়ে তুলবেন বলেও জানান।

এদিকে লালমোহন পৌর মেয়র এমদাদুল হক তুহিন তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন ব্যানার পোড়ানো বা ছিনিয়ে নেয়ার ব্যাপারে  তিনি কিছুই জানেন না। তিনি জানান আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোকো ট্র্যাজেডি স্মরণে ব্যাপক কর্মসূচী নেয়া হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।