বাকেরগঞ্জে পিতাকে জবাই করে হত্যা

উম্মে রুমান, বরিশাল ॥ আজ বরিশাল দায়রা জজ আদালতে বাকেরগঞ্জের দূর্গাপাশার জিরাইল গ্রামের ইউপি যুবলীগ সভাপতি বাদশার দুটি চোখ উৎপাটন মামলার চার্জ গঠন ও শুনানীর তারিখ। ঐ মামলা থেকে জামিন নিতে আসামীদের কর্তৃক জোর করে এলাকার লোকজনের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জিরাইল গ্রামের যুবলীগ সভাপতি বাদশা খানের পিতা আবু কাসেম খান চাঁন মিয়াকে ২০০৭ সালে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী আব্দুর রবের নেতৃত্বে কতিপয় দুর্বৃত্ত নিজ বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে পাশ্ববর্তী খালের পাড়ে হাত পা বেঁধে জবাই করে হত্যা করে। এ ঘটনায় পিতার হত্যার বিচারের আশায় পুত্র যুবলীগ নেতা বাদশা খান বাদী হয়ে সন্ত্রাসীদের নামে মামলা করলে চাপের মুখে মামলা তুলে নিতে বাধ্য হয়। থানা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পূর্বে ভোলার নদীর পাশ ঘেসে দুর্ধর্ষ ক্যাডার আব্দুর রব গড়ে তুলেছেন নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। দুর্ধর্ষ আব্দুর রব বাহিনীর ভয়ে  দূর্গাপাশা সহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ আতষ্কে থাকে। অন্যদিকে ঐ বাহিনীর ভয়ে স্বাক্ষী প্রমাণ দেয়াও দুরুহ ব্যাপার হয়ে দাড়ায়। গত বছর ২২ অক্টোবর সকালে প্রকাশ্য দিবালোকে জিরাইল বাজারের মোজাম্মেলের চায়ের দোকানের সামনে আব্দুর রব বাহিনীর নেতৃতে যুবলীগ সভাপতি বাদশা খানের দুটি চোঁখ উৎপাটন করে তার হাত পা ঘুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা হলে পরবর্তীতে আসামী ঐ ্বাহিনীর প্রধান আব্দুর রবসহ সকলের নামে আদালতে  চার্জশীট দাখিল করে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ। আব্দুর রব পরে অসত্য তথ্য দিয়ে  আদালত থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিন নিয়ে জেলহাজত থেকে বেড়িয়ে আসে। ঐ মামলার স্বাক্ষী ও নিকট আত্মীয়দেরকে সরে দাড়াতে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ বাদশার পরিবারের। তাছাড়া ঐ বাহিনী এলাকার অধিকাংশ সদস্য ঘরে ঘরে গিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিচ্ছে। স্বাক্ষর দিতে না চাইলেও বাদশার মত ভয়ষ্কর পরিস্থিতির অবস্থা হবে বলে তাদের ভয় দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটি সূত্র জানিয়েছে আজ বরিশাল দায়রা জজ আদালতে এই মামলার চার্জ ও শুনানীর তারিখ ধার্য্য রয়েছে। এলাকাবাসী থেকে জোর করে স্বাক্ষর এনে চার্জ গঠনের দিন ঐ কাগজ ব্যবহার করে আদালতকে ভুল তথ্য দিয়ে স্থায়ী জামিনের চেষ্টা চালাবে বলে জানা গেছে। ইতিপূর্বে ঐ বাহিনী বাদশা খানের বাড়ীতে হামলা চালিয়েও শান্ত হয়নি, এমনকি গরু, ছাগল ও পুকুরের মাছ পর্যন্ত তুলে নিয়ে আনন্দ উল¬াস করে খেয়েছে বলে অভিযোগ করেন বাদশার পুত্র রুবেল খানের। এলাকায় এ ঘটনায় আতংক ছড়িয়ে পরেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধীক ব্যক্তি জানিয়েছেন, আব্দুর রব বাহিনীর স্বাক্ষর নেয়াকে কেন্দ্র করে এলাকায় কিছু কিছু পরিবার ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। যত দিন যাচেছ ততই পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। গত ২৩ নভেম্বর প্রকাশ্য জিরাইল বাজারে বাদশা খানের শ্বশুর সাবেক মেম্বার আব্দুল খালেক খানের ওপর আব্দুর রব বাহিনী অতর্কিত হামলা চালালে সে কৌশলে নিজেকে আত্মরক্ষা করে বেঁচে যায়। রব বাহিনীর আতংকে আছেন বাদশা ও তার পরিবার। যুবলীগ নেতা বাদশা প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন। আব্দুর রব বলেন, আমি বিএনপি করতাম, জামায়াত করি না, ্আমার কোন বাহিনী নেই। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক নয়।