বিপুল ও শিখা রানী মুক্তি চায়

বরিশাল প্রতিনিধি ॥  বরগুনার বামনা উপজেলার পশ্চিম সফিপুর গ্রামের বিপুল চন্দ্র কর্মকার ও বামনা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসের মাঠকর্মী শিখা রানী কর্মকার হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

তারা লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ২০০৪ সালে জাহাঙ্গীর সর্দার ও নিকুঞ্জ বিহারী মালাকারের কাছ থেকে ১০ শতাংশ জমি কিনে বসতঘর তুলে বসবাস শুরু করেন। শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ২০০৯ সালে নিকুঞ্জ বিহারী মালাকারের কাছ থেকে পৌনে ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করে তাদের জমি দখলের পায়তারা চালায়। তিনি আরো অভিযোগ করেন, ঐ বছরই বামনা সহকারী জজ আদালতে মামলা করে নোটিশ গোপন করে শ্যামল চন্দ্র এক তরফা রায় করিয়ে নেন। পরবর্তীতে ২০১০ সালের ২৫ মে বিপুল চন্দ্র কর্মকার, রঞ্জন কর্মকার ও দিপক কর্মকারকে আসামী করে বামনা থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করে। পরে আরো দুইটি মামলা দায়ের করে তাদের হয়রানী শুরু করে। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে তাদের ১০ দিন হাজতবাস করানো হয়েছে। তারা আরো অভিযোগ করেন, তাদের দক্ষিন সীমানার ওয়াল ভেঙ্গে ১৪/১৫ ফুট ভাঙ্গিয়া ২০ হাজার টাকা এবং গাছপালা ও বাঁশের ঝাড় কাটিয়া ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবী করেন, একাধিক পত্রিকায় তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করে হেয়প্রতিপন্ন ও হয়রানী করা হচ্ছে।