বরিশাল প্রতিনিধি ॥ বরগুনায় আপন খালা ও খালুর বিরুদ্ধে চার বছরের শিশু সন্তানকে হত্যা করে মাটি চাঁপা দেবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করায় মঙ্গলবার বিকেলে ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ লাশ উত্তোলন ও খালা মোর্শেদাকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ৬ বছর আগে বরগুনা সদর উপজেলার আঙ্গারপাড়া গ্রামের শান্তি বেগমের সাথে শরিয়তপুরের পালং উপজেলার মাওনপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিন বেপারীর সাথে বিয়ে হয়। তাদের মিম নামের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। ঢাকায় বসবাসকারী শান্তি গার্মেন্টে ও নিজাম ফার্নিচারের দোকানে কাজ করায় সন্তান লালন পালনে তাদের সমস্যা হয়। গত ৩ মাস আগে মিমকে (৪) লালন পালনের জন্য বরগুনায় তার খালার কাছে পাঠানো হয়। এজন্য খালা মোর্শেদাকে প্রতিমাসে আড়াই হাজার টাকা করে দেয়া হতো। গত পহেলা নভেম্বর মোর্শেদা ও তার স্বামী কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার বাসরচর গ্রামের সফির উদ্দিনের ছেলে শাহাবুদ্দিন শিশুটিকে হত্যা করে লাশ বরগুনা সদর উপজেলার আঙ্গারপাড়া গ্রামের মোর্শেদার বসত ঘরের বারান্দায় গর্ত করে মাটি চাঁপা দিয়ে রাখে। পরে ঢাকা গিয়ে শিশুর বাবা ও মাকে জানায়, তাদের কাছে নিয়ে যাবার পথে ঢাকার সদরঘাট থেকে শিশুটি হারিয়ে গেছে। প্রথমে তাদের কথা বিশ্বাস করলেও পরে লুকোচুরির বিষয়টি টের পেয়ে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) শিশুটির বাবা নিজাম উদ্দিন বেপারী বাদী হয়ে মোর্শেদা ও তার স্বামীকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। বরগুনা থানার উপ-পরিদর্শক আবু হানিফ জানান, মঙ্গলবার বিকেলে তিনি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মমিন উদ্দিনের সাথে গিয়ে মোর্শেদার বসতঘরের বারান্দার মাটি খুড়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছেন। শিশুটির খালা মোর্শেদা বেগম নিজে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও স্বামীর সাথে লাশ মাটি চাঁপা দিতে সহযোগিতা করার কথা স্বীকার করেছেন।