নিজস্বস সংবাদদাতাঃ সেনা সদস্যকে বিয়ে করার জন্য এলাকার একটি কু-চক্রি মহলের পরামর্শে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছিলো এক কিশোরী। ধর্ষণ মামলায় সেনা সদস্য সহ আসামি করা হয়েছে তার পিতা ও তিন ভাইকে। অবশেষে কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষায় ধর্ষণের কোন আলামত না পাওয়া মামলাটি নিয়ে পুলিশ প্রশাসন পরেছেন বিপাকে। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার দক্ষিণ পিঙ্গলাকাঠী গ্রামের।
এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ পিঙ্গলাকাঠী গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের কন্যা ও নলচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীনী মোর্শেদা আক্তার গত ২২ নবেম্বর একই গ্রামের আশরাফ হোসেন হাওলাদারের পুত্র সেনা সদস্য ফয়সাল হাসান রাসেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গৌরনদী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় আসামি করা হয় সেনা সদস্য রাসেল তার পিতা আশরাফ হোসেন, ভাই মনির হোসেন, কাইউম হোসেন ও আরিফ হোসেনকে। পুলিশ ওইদিনই কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আখতারুজ্জামান পরীক্ষা নিরিক্ষা শেষে গত ২৯ নবেম্বর রির্পোট প্রদান করেন। ওই রির্পোটে ধর্ষণের কোন আলামত নেই বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। সেনা সদস্যর ভাই মনির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় একটি কু-চক্রি মহলের পরামর্শে আমাদের সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ মিথ্যে মামলা দায়ের করানো হয়েছে।
গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আবুল কালাম জানান, ডাক্তারী পরীক্ষায় ধর্ষণের কোন আলামত না থাকায় মামলাটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে রহ্যজনক এ মামলার বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেই রির্পোট প্রদান করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।