বিল্লাল হোসেন, কালকিনিঃ ‘বাড়িতে কেউ শান্তিতে ঘুমাইতে পারে না। বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট, শ্লীলতাহানী, মারধর ও জোর জুলম ওদের কাছে স্বাভাবিক হইয়া গেছে। থানায় গেলেই টাকা লাগে। একে একে ৬ টি মামলা করছি, এলাকায় পুলিশ এলেই টাকা নেয় তবুও সন্ত্রাসীগো ধরে না। সন্ত্রাসী বাহিনীকে চাঁদা দিতে না পারায় ক্ষেতের জমির পাকা ধান কৃষকেরা কাটতে পারছে না। এই বাহিনীর বিরুদ্ধে একে একে ৬টি মামলা কইর্যা নিঃস্ব হইয়া গেছি, এখন কি করমু?’ গতকাল (আজ রবিবার) সকালে কালকিনি প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এলাকাবাসীর পক্ষে এমন প্রশ্ন করেন উপজেলার কয়ারিয়া ইউপির ৭নং ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) হাবিবুর রহমান ফকির।
তিনি জানান, উপজেলার কয়ারিয়া ইউপির চর আলিমাবাদ এলাকায় ‘মোশারফ বাহিনী’ নামের একটি সন্ত্রাসীদল গত ৬ মাস যাবৎ সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে। এই বাহিনীর অত্যাচারে অর্ধশতাধিক পরিবার এলাকা ছাড়া হয়েছে। তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি পুরো এলাকা। লুটপাট, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে থানায় ৬ টি মামলা করা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করছে না। নেয়ামত সিকদার ও দলিল সিকদার নামের দুই কৃষকের ৩ বিঘা জমির পাকা ধান কাটতে না পারায় জমিতে পড়ে যাচ্ছে। ৫/৬ জন এলাকাবাসী তাদের হামলায় আহত হয়ে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। ‘মোশারফ বাহিনী’র প্রধান মোশারফ হোসেন ফকির এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম শাহীন মন্ডল বলেন, গ্রামটি দুর্গম এলাকায় হওয়ায় পুলিশি তৎপরতা কিছুটা বিঘ্ন হয়। সন্ত্রাসীদের ধরতে চেষ্টা চলছে।