আগৈলঝাড়ায় রত্না গর্ভা মাকে নিয়ে ভিন্নরকম আয়োজন

গ্রামবাসির উচ্ছাসের কোন কমতি ছিলনা না। উচ্ছাস দেখলে মনে হবে এটা একটা বিয়ে অনুষ্ঠানের উৎসব। আসলে রত্না গর্ভা মা নাজমা বেগমকে শুভেচ্ছা জানাতে গ্রামবাসি একত্রিত হয়ে রং, জড়িল একে অপরের গায়ে মেখে আনন্দ ফুর্তি করছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার নগরবাড়ি গ্রামে।
সরেজমিনে এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার নগরবাড়ি গ্রামের কৃষক সেলিম গোমস্তা ও গৃহিনী নাজমা বেগমের ৩ কন্যা সন্তান। এর আগে তার ২ কন্যা আগৈলঝাড়া শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তারই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে তার ছোট কন্যা শাকিলা আক্তার মিলি এবারে এসএসসি পরীক্ষায় একই বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এলাকাবাসিকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
নাজমা বেগম জানান, তার প্রথম কন্যা শারমিন আক্তার ডলি ২০০৪ সালে আগৈলঝাড়া শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বরিশাল অমৃতলাল দে মহাবিদ্যালয় থেকে ২০০৬ সালে বানিজ্য বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে। ডলি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ শেষ বর্ষের অধ্যায়নরত। তার ম্যাজিষ্ট্রেট হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে। দ্বিতীয় কন্যা শামিমা আক্তার পলি ২০০৭ সালে মানবিক বিভাগে একই স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পায়। সে আগৈলঝাড়া শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ থেকে ২০০৯ সালে জিপিএ-এ পেয়ে বরিশাল বিএম কলেজে অনার্সে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়। তার আইনজীবি হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে। তৃতীয় কন্যা শাকিলা আক্তার মিলি এবছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে একই বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি মরেও এখন শান্তি পাব। মেয়েদের সাফল্যের কারণে আমার সকল কষ্ট ও পরিশ্রমের কথা ভুলে গেছি। একথাগুলো বলার সময় তার চোখের পানি শাড়ির আঁচল দিয়ে মুছছিল। আগৈলঝাড়া শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নির্মলেন্দু বাড়ৈ বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ গত সোমবার রত্না গর্ভা নাজমা বেগম ও তার পরিবারবর্গদের সংবর্ধনা দিয়েছি। সেলিম গোমস্তা পরিবারের সাফল্য শুধু তাদেরই নয় এ সাফল্য গোটা আগৈলঝাড়াবাসির। নগরবাড়ি গ্রামের আকিউল হাওলাদার জানান, একটি সাধারণ কৃষক পরিবারের পিতা-মাতা সচেতনতার কারণে তার পরিবারে এ সাফল্য। এ সাফল্যের ভাগিদার হিসেবে গ্রামবাসি আজ আনন্দ উল্লাস করছে। কৃষক সেলিম গোমস্তা বলেন, আমার ভিটেমাটি সব বিক্রি করে হলেও মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তাদের আশা পূরণ করব।


গৌরনদী ডট কমের পক্ষ থেকে মিলি ও তার পরিবারের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

গ্রামবাসির উচ্ছাসের কোন কমতি ছিলনা না। উচ্ছাস দেখলে মনে হবে এটা একটা বিয়ে অনুষ্ঠানের উৎসব। আসলে রত্না গর্ভা মা নাজমা বেগমকে শুভেচ্ছা জানাতে গ্রামবাসি একত্রিত হয়ে রং, জড়িল একে অপরের গায়ে মেখে আনন্দ ফুর্তি করছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার নগরবাড়ি গ্রামে।
সরেজমিনে এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার নগরবাড়ি গ্রামের কৃষক সেলিম গোমস্তা ও গৃহিনী নাজমা বেগমের ৩ কন্যা সন্তান। এর আগে তার ২ কন্যা আগৈলঝাড়া শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তারই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে তার ছোট কন্যা শাকিলা আক্তার মিলি এবারে এসএসসি পরীক্ষায় একই বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে এলাকাবাসিকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
নাজমা বেগম জানান, তার প্রথম কন্যা শারমিন আক্তার ডলি ২০০৪ সালে আগৈলঝাড়া শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বরিশাল অমৃতলাল দে মহাবিদ্যালয় থেকে ২০০৬ সালে বানিজ্য বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে। ডলি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ শেষ বর্ষের অধ্যায়নরত। তার ম্যাজিষ্ট্রেট হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে। দ্বিতীয় কন্যা শামিমা আক্তার পলি ২০০৭ সালে মানবিক বিভাগে একই স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পায়। সে আগৈলঝাড়া শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ থেকে ২০০৯ সালে জিপিএ-এ পেয়ে বরিশাল বিএম কলেজে অনার্সে প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়। তার আইনজীবি হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে। তৃতীয় কন্যা শাকিলা আক্তার মিলি এবছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে একই বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি মরেও এখন শান্তি পাব। মেয়েদের সাফল্যের কারণে আমার সকল কষ্ট ও পরিশ্রমের কথা ভুলে গেছি। একথাগুলো বলার সময় তার চোখের পানি শাড়ির আঁচল দিয়ে মুছছিল। আগৈলঝাড়া শ্রীমতি মাতৃমঙ্গল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নির্মলেন্দু বাড়ৈ বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ গত সোমবার রত্না গর্ভা নাজমা বেগম ও তার পরিবারবর্গদের সংবর্ধনা দিয়েছি। সেলিম গোমস্তা পরিবারের সাফল্য শুধু তাদেরই নয় এ সাফল্য গোটা আগৈলঝাড়াবাসির। নগরবাড়ি গ্রামের আকিউল হাওলাদার জানান, একটি সাধারণ কৃষক পরিবারের পিতা-মাতা সচেতনতার কারণে তার পরিবারে এ সাফল্য। এ সাফল্যের ভাগিদার হিসেবে গ্রামবাসি আজ আনন্দ উল্লাস করছে। কৃষক সেলিম গোমস্তা বলেন, আমার ভিটেমাটি সব বিক্রি করে হলেও মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তাদের আশা পূরণ করব।