মনপুরায় ঘাটের কুলির সাহসীকতায় মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেলেন ৫ বছরের শিশু অর্পিতা

মনপুরা (ভোলা) প্রতিনিধিঃ ভোলার মনপুরা উপজেলার রামনেওয়াজ লঞ্চ ঘাটের কুলি সুদর্শন চন্দ্র দাসের সাহসীকতায় মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেলো হাজির হাটের বাসিন্দা অরবিন্দু চন্দ্র দাসের ৫ বছরের শিশু কন্যা অর্পিতা দাস। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, হাজির হাট ইউনিয়নের বাসিন্দা ও সোনার চর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অরবিন্দু চন্দ্র দাস তার ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াত খেয়ে হাতিয়া থেকে  ঢাকাগামী লঞ্চ যোগে মনপুরা লঞ্চ ঘাটে আসলে নামার সময় শিশু কন্যা অর্পিতা(৫) পা পিছলিয়ে লঞ্চ থেকে নদীতে পড়ে যায়। তখন লঞ্চ ঘাটে অবস্থিত পল্টুনের সাথে ডেসাডেসি অবস্থায় ছিল। অর্পিতা লঞ্চ ও পল্টুনের মধ্যেখানে  মেঘনা নদীতে পড়ে গেলে ঘাটে অবস্থিত যাত্রীরা হৈ চৈ করে উঠে। তখন ঘাটে থাকা ঘাট কুলি সুদর্শন(৩৫) নদীতে লাফিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সুদর্শন ও অর্পিতাকে নদীতে দেখা না গেলে ঘাটে উপস্থিত যাত্রীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এ দিকে অর্পিতার বাবা,মা শিশু কন্যার জন্য দিশেহারা হয়ে পড়ে। এর কিছুক্ষন পড়ে ঘাট কুলি সুদর্শন  অর্পিতাকে নিয়ে উঠে আসলে ঘাটে অবস্থিত যাত্রীদের মাঝে খুশির বন্য বয়ে যায়। অন্যদিকে অর্পিতার বাবা,মা খুশিতে মেয়েকে জড়িয়ে খুশিতে কাদঁতে থাকে তখন এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা সৃষ্টি হয়। ঘাট কুলির সাহসীকতায় নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে অর্পিতা ফিরিয়ে আনায় সুদর্শনকে যাত্রীরা সহ শিশুটির অভিভাবক পুরুস্কৃত করতে চাইলে তিনি তা না নিয়ে ফিরিয়ে দেয়।