পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা খান মোশারফ হোসেন পটুয়াখালী জেলা পরিষদের প্রশাসক পদে নিয়োগ করেছে সরকার। এনিয়ে পটুয়াখালী আ’লীগ বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীরা মিষ্টি বিতরণ করেছে। ইতিমধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট সুলতান আহমেদ মৃধা ও পৌরসভার মেয়র ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলামসহ অনেক নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সহ খান মোশারফ হোসেনকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের প্রশাসক খান মোশারফ হোসেন ১৯৫২সালের ১মার্চ একমুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা মরহুম মোবারক আলী খান ও মাতা মরহুম মনোয়ারা বেগম। তিনি ১৯৭২ সালে কৃতিত্বের সাথে বি.কম পাস করেন। খান মোশারফ হোসেন ১৯৭৩ সালে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু মৃত্যুর পর দীর্ঘ একটানা তিন বছর কারাবরন করেন। ১৯৭৯সালে পটুয়াখালী শহর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এবং ১৯৮২ সালে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। সাংগঠনিক সম্পাদক এর দায়িত্ব পালনকালিন সময় তিনি অনেক ঝড়ঝঞ্ঝা বিশেষকরে সামরিক শাসনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষাকরে তার মেধা ও শ্রম দিয়ে পটুয়াখালী জেলায় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়। যার ফলে পটুয়াখালীর মাটি আওয়ামীগের ঘাঁটি হিসাবে সারাদেশে পরিচিত লাভ করে। আওয়ামীলীগের একজন পরীক্ষিত সংগঠক হিসাবে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের কাছে খান মোশারফ হোসেন বহুল পরিচিতি লাভ করে। তার এ পরিচিতি ও দক্ষতার কারনে নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সমর্থন লাভকরে ১৯৯৩ সাল থেকে অদ্যবধি সুনামের সাথে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পটুয়াখালী জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ দেয়ায় খান মোশারফ হোসেন আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।