খোন্দকার কাওছার হোসেন : নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে মত দিতে রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছে বিএনপি। সোমবার সন্ধায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিয়ে দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একথা জানান।
রিজভী জানান, বেলা ৩টায় ফ্যাক্সে এবং বিকাল ৪টায় বিশেষ ডাকে রাষ্ট্রপতির সংলাপের চিঠি আমাদের কার্যালয়ে এসেছে। তিনি বলেন, চিঠিতে আগামী ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে যোগ দিতে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
নয়াপল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব বরাবর পাওয়া চিঠিটি গতকালই দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। রিজভী বলেন, দলের নীতিনির্ধারকরা বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনে মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রয়ারি। এ প্রেক্ষিতে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে মতামত জানতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গত ২২ ডিসেম্বর সংলাপ শুরু করেন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান।
বিএনপি ইতোমধ্যে বলেছে, রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ পাওয়ার পর তারা এ সংলাপ নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে। তবে রাষ্ট্রপতির বদলে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সংলাপের উদ্যোগ নিলে আরো ভালো হতো বলে ইতোমধেই মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে সরকার
সারাদেশে বিএনপির পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল গতকাল সোমবার। কিন্তু সরকার আগের মতোই এ কর্মসূচিতেও বাধা দিয়েছে বলে এ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন রিজভী।
তিনি অভিযোগ করেন, এদিন সারাদেশে পুলিশি হামলায় ২৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন, পুলিশ আটক করেছে ২১৪ জনকে। সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। রিজভী বলেন, সরকার যদি আমাদের আর কোনো কর্মসূচিতে বাধা দেয়, তবে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
রোডমার্চের প্রস্তুতি সম্পন্ন
রিজভী জানান, আগামী ৭-৮ জানুয়ারির চট্টগ্রাম অভিমুখী রোডমার্চ সফল করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রোডমার্চের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এ রোডমার্চে বিঘ্ন ঘটলে তার পরিণতিতে যে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে, তার দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।