থার্টি ফাস্ট নাইটকে সামনে রেখে দক্ষিণাঞ্চলে মাদকের ছড়াছড়ি

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পশ্চিমা দেশগুলির অনুকরনে থার্টি ফাস্ট নাইট উদ্যাপনে বরিশাল নগরীসহ গোটা দক্ষিনাঞ্চলের একমাত্র পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক আয়োজন শুরু হয়েছে। আয়োজনের প্রধান উপাদান হিসেবে ইতোমধ্যে ব্যাপক মাদকের আমদানী হয়েছে। র‌্যাব ও পুলিশ প্রতিনিয়ত মাদক বিরোধী অভিযান চালানো সত্বেও বন্ধ হচ্ছে না মাদকের আমদানী। আমদানী ও সরবরাহের ধরন পাল্টে অব্যাহত রয়েছে মাদকের আগমন।

বেশ কয়েক বছর ধরে পুরো দেশ জুড়ে জাকজমকের সাথে পালন করা হচ্ছে থার্টি ফাস্ট নাইট। ৩১ ডিসেম্বর এ আয়োজনে বিভিন্নস্থানে নানান আপত্তিকর ও অশ্লীল ঘটনাও ঘটছে। আইন শৃংখলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া সত্বেও ঘটছে অনেক অঘটন। এ বছরও বিভাগীয় নগরী বরিশালসহ সর্বত্রই থার্টি ফাস্ট নাইট উদ্যাপন নিয়ে সাজ সাজ রব চলছে। অনেক সংগঠন বা মহল্লা থেকে এদিন দেশের বিভিন্ন পয়েন্টে পিকনিকে যাওয়ার আয়োজন হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন সংগঠন ও বন্ধু মহলের রয়েছে নানান আয়োজন। ৩১ ডিসেম্বর রাতে নগরীর ঐতিহ্যবাহী বরিশাল ক্লাবে আয়োজন করা হয়েছে থার্টি ফাস্ট নাইটের জমজমাট অনুষ্ঠান। আয়োজনের মধ্যে রয়েছে র‌্যাফেল ড্র, হাউজি ও জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এ অনুষ্ঠান শুধুমাত্র ক্লাব সদস্য ও তাদের পরিবারদের জন্য আয়োজন করা হয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, থার্টি ফাস্ট নাইট উদ্যাপনে নানা ধরনের মাদক আমদানী হয়েছে। সর্বোচ্চ মাদক আমদানীর গুঞ্জন রয়েছে দক্ষিনাঞ্চলের একমাত্র পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায়। স্থানীয় আধিবাসী ছাড়াও দেশের বিভিন্নস্থান থেকে আগত পর্যটকদের জন্য এ আয়োজন। মাদক সরবরাহের স্থান থেকে বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে অবস্থান নেয়া পর্যটকদের কাছে মাদক সরবরাহ করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে ভাড়ায় চালিত মটরসাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে।

সূত্রমতে, স্থানীয় আদিবাসী রাখাইন পল্লী কালাচানপাড়া, গোড়া আমখোলা পাড়া, দিয়ার আমখোলা পাড়া, লক্ষ্মীপাড়া, মিশ্রীপাড়া, তাঁতীপাড়া, হাড়ীপাড়া, নাউরী পাড়া, কেরানীপাড়া (কুয়াকাটা), থঞ্জুপাড়াসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মাদক বিক্রি করা হয়। অধিকাংশস্থান থেকে রাখাইনদের তৈরী চোলাই মদ বিক্রি ও বাজারজাত হচ্ছে। একই সাথে বিদেশী হুইস্কির পাশাপাশি গাঁজা, ফেন্সিডিল, হেরোইন, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্যের আমদানী চলছে।

কুয়াকাটার আমখোলা পাড়ার সমাজপতি ও রাখাইন ওয়েল ফেয়ারের সভাপতি উথাচিং তালুকদার বলেন, এ পাড়ার আশ্রায়ন প্রকল্পের ২৫টি বাসায় চোলাই মদ তৈরী হয়। আর এসব বাসায় আসা মাতালদের উৎপাতে আমরা অতিষ্ট। কেরানীপাড়ার রাখাইন যুবক উচো মাতুব্বর জানান, ছোট ছোট দোকান দিয়ে পান বিড়ির দোকানের ছন্মবেশধারীরা দেদারছে চোলাই মদ বিক্রি করছে। ফলে প্রতিনিয়ত মাদকাসক্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।