শুভব্রত দত্ত, বরিশাল ॥ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বড়াকোঠা ইউনিয়নের ডিমার ডাঙ্গা খালটি ভুমি দস্যুদের হাত থেকে উদ্ধার করে পুনঃ খনন করেছে উপজেলা প্রশাসন। খালটি পূর্বে ভূমি দস্যুদের ভরাট করে দখল করার কারণে ৭৫ একর জমি ইরিধান চাষ থেকে বঞ্চিত ছিল।
শনিবার উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা ৪০ দিনের কর্মসূচীর লোকজন দিয়ে খালটি পুনঃ খনন করে। এতে ৭৫ একর জমিতে সেচ প্রকল্পের পানি পেয়ে কয়েকশত কৃষক চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপকৃত হবে।
জানা গেছে, ১৫ দিন আগে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে খালটি খননের কাজ শুরু করতে গেলে ভূমিদস্যু দখলকারী মতিউর রহমান মল্লিক, আনিচ মল্লিক ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাধা দেয়। বড়াকোঠা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেন নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে এসি ল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে জায়গাটিতে লাল নিশান উড়িয়ে দেয়। এরপর গত ১৭ ডিসেম্বর ভূমিদস্যুরা ওই জমিতে ধানবীজ রোপন করে। আজ শনিবার ইউনিয়ন পরিষদ লেবার নিয়ে খাল খনন করতে গেলে ভূমি দস্যুরা বাধা দিলে থানা পুলিশ নিয়ে পুনঃ খনন করা হয়।
বড়াকোঠা ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেন জানিয়েছেন খালটি খনন করার ফলে কয়েকশত কৃষক সেচ প্রকল্পের পানি নিয়ে নির্বিঘেœ চাষাবাদ করতে পারবে। খালটি দখলমুক্ত করতে গিয়ে নানা ভোগান্তির শিকার হয়েছেন তিনিও। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবী চন্দ জানিয়েছেন সরকারি খাস জমিতে একটি খাল ছিল। চর জেগে ভরাট হয়ে যায়। কতিপয় ব্যক্তি তাদের জমির সাথে মিলিয়ে দখলে নেয়। তারা উপজেলা প্রশাসনের কাছে খালের জমি লীজ নেয়ার আবেদন করে। জনগণের স্বার্থে তাদের আবেদনটি গ্রহন করা হয়নি। সেচ প্রকল্পের আওতায় আনার জন্য খাল পুনঃ খননের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শনিবার তার সমাপ্তি হয়।