উম্মে রুমান, বরিশাল ॥ বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর প্রভাতী শাখার ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল তৈরীতে ভুল স্বীকার করে জেলা প্রশাসন ৩৫ পরীক্ষার্থীর ফলাফল বাতিল করেছে। পরীক্ষার ফলাফলের ডাটা কম্পিউটারে এন্ট্রি ও সিরিয়াল করার সময় ভুলের কারনে ফলাফল প্রকাশে এ ভুল হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা প্রশাসক এস.এম আরিফ-উর-রহমান।
রোববার রাত সারে ৮টায় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কে এ মতবিনিময় সভা এ তথ্য জানিয়ে পুনুরায় ফলাফল ঘোষনার কথা জনান। গত ২৬ ডিসেম্বর নগরীর দুটি সরকারি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার ২৯ ঘন্টা পর ২৭ ডিসেম্বর ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে জেলা প্রশাসক কার্যালয় বসে।
বিগত বছরগুলোতে পরীক্ষার শেষে স্কুলে বসেই উত্তরপত্র মূল্যায়ন শেষে ফলাফল প্রস্তুত করে পরীক্ষার দিন রাতেই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক এস.এম আরিফ উর রহমান মতবিনিময় সভায় আরো বলেন, ফলাফল প্রকাশের পর কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, তাদের সন্তানরা ভাল পরীক্ষা দিয়েছে তাদের চান্স পাওয়ার কথা। অভিযোগের কারনে ফলাফল পূর্ণ যাচাই করলে ১০৯ জন পরীক্ষার্থীর ফলাফল রদবদল হয়েছে বলে ধরা পড়ে। পরে পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে পুনরায় ফলাফল সিরিয়াল করলে উর্ত্তীণ ঘোষণা করা ৩৫ জন পরীক্ষার্থী বাদ পড়ে। বাদ পড়াদের মধ্যে ১০/১৫ নম্বর পেয়েছেন এমন ছাত্রীও রয়েছে বলে জানান।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক জনান পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা আলোচনা করে ভুলের কারনে চান্স পাওয়া ৩৫ পরীক্ষার্থীর ফলাফল বাতিল করে যোগ্য শিার্থীদের ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। তিনি জানান, বাদপড়া ৩৫ জনসহ যে কোন অভিভাবক ১শ’ টাকার বিনিময়ে ৭ দিনের মধ্যে স্কুলে আবেদন করে খাতা দেখতে পারবেন। ভুলের বিষয়ে কোন তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে কিনা এবং এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পরীক্ষার সাথে যারা জড়িত ছিল তারা দুই দিন নির্ঘুম সততার সাথে কাজ করেছে।
জেলা প্রশাসক জানান, সরকারি দুটি স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হলে তদ্বীরের সুনামি এসে আঘাত করে তাদের উপর। প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ভর্তির জন্য তদ্বীর আসে। কিন্তু তাদের কিছু করার থাকে না। এর মধ্যে সততার সাথে মাথা উচুঁ করে থাকতে হয় তাদের।
সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউসুফ হোসেন জানিয়েছেন, তার স্কুলের ভর্তি পরীক্ষায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পলাশ কান্তি বালাসহ ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করেছেন। এদিকে আজ সংশোধিত ফলাফল ঘোষণা উপলে যে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে স্কুলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।