উজিরপুর প্রতিনিধি: উজিরপুরের হারতা ইউনিয়নের মধ্য কালবিলা গ্রামে এক গৃহবধুকে তার স্বামী ও পরিবার মিলে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে গৃহবধুর লাশটি গাছের সাথে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে ওই পরিবার। গত রবিবার দুপুরে গৃহবধূর ঝূলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে উজিরপুর থানা পুলিশ। নিহত গৃহবধূর নাম সুমি(১৫)। জানাগেছে যৌতুকের কারনে সুমির স্বামী শ্যামল মজুমদার ও তার মা, বোন মিলে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে পরে বাড়ীর পাশে একটি গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
নিহতর বাবা সদানন্দ বালী উজিরপুর প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকদের জানান গত দেড় বছর আগে মধ্য কালবিলা গ্রামের দিনমজুর সহদেব মজুমদারের ছেলে শ্যামল মজুমদারের সাথে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যৌতুকের দাবীতে গৃহ বিবাদ প্রায়ই লেগে থাকত এবং বিবাহের সময় তাদের দাবীকৃত যৌতুকের ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছিল। পুনরায় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক চেয়ে সুমিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতো তার স্বামী শ্যামল মজুমদার ও তার মা, বোন। সুমি নিহত হওয়ার ২ দিন আগে বাধ্য হয়ে তার স্বামীর দাবীকৃত যৌতুকের টাকা আনতে বাবার বাড়ী উত্তর মুন্সির গ্রামে যায়। বাবা টাকা দিতে অপরাগততা প্রকাশ করলে সুমি শশুর বাড়ী ফিরে আসে এবং একথা তার স্বামী ও শাশুরীর কাছে বললে এতে তারা সুমির উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনাটি ঘটায় বলে জানাণ। ঘটনাটি দামাচাপা দেওয়ার জন্য স্থানীয় এক শ্রেনীর প্রাভাবশালী মহল উঠে পরে লেগেছে এবং যাতে হত্যা মামলা তাদের বিরুদ্ধে না হয় তার জন্য নিহত সুমির বাবা সদানন্দ বালীকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।
উজিরপুর থানার তদন্তকারী অফিসার এস আই আশিষ কুমার জানান লাশটি ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা বদী পক্ষের কোন লিখিত অভিযোগ হাতে পাইনি, পেলে আমলা তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।