শাহিন হাসান, বরিশাল ॥ সংস্কার ও সংরক্ষণের অভাবে বরিশাল কীর্তনখোলা নদীর তীরে কোটি কোটি টাকার পন্টুন মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে। নেই বিআইডব্লিউটিএ’র কর্তপক্ষের কোন সংস্কার কিংবা মেরামতের চেষ্টা। তবে বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র সিএমপির দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ হোসেন বলেন, কীর্তনখোলা নদীর তীরে মজুদকৃত পন্টুনগুলো দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সংস্কারের জন্য মজুদ করা হয়েছে। তবে আমার সংস্কার করার মত ক্ষমতা নেই। আমি ঢাকা বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ে লিখিতভাবে জানিয়েছে, এগুলো মেরামত না করে যাত্রী সেবা দেয়া সম্ভব নয়। খুব শীঘ্রই অকেজো পন্টুনগুলো সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহবান করা হবে।
এদিকে বরিশালের বেশ কয়েকটি স্থানে পন্টুনের তীব্র প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলেও জনসাধারণের সেবার জন্য বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। যথেষ্ট পন্টুন না থাকায় সরকার যেমন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের লঞ্চ ট্রলার থেকে মালামাল লোড-আনলোড করতে পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি। শীতের মৌসুমে পন্টুনের অভাবে সাধারণ যাত্রীদের লঞ্চ থেকে নামতে কষ্ট হচ্ছে। দেখা যায়, অনেক সময় ব্যবসায়ীদের মালামাল লোড আনলোড করতে গিয়ে লঞ্চঘাটে নানা দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব ভুক্তভোগী জনসাধারণের অভিযোগ বরিশাল বিআইডব্লিউটি’র খামখেয়ালীর কারণে। ১৬টি পন্টুন মাটি হবার উপক্রম। এর মধ্যে এসপি ২৫৪, এসপি ২৯৪, এলপি ২৫৪, এসপি ৫৮, এসপি ১১২, এসপি ২৭৫, এসপি ১৬১, এসপি ৮৩, এসপি ১৯৮, টিপি ১০, এমপি ২৪৬, এমপি ৬১, এমপি ৯১ ও একটি ফ্লাট পন্টুন যার নাম্বার ৩। এর মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি পন্টুন সামান্য ত্র“টির কারণে আনাও হয়েছিল বলে জানা যায়। তবে সেগুলো অযত্নে অবহেলায় লক্কর ঝক্কর হয়ে গেছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমানে কীর্তনখোলা নদীর তীরে পড়ে থাকা পন্টুনের মূল্য ৫০ কোটি টাকার বেশি।