কোয়ার্টার ফাইনালে আবাহনী

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ প্রথম দল হিসেবে ফেডারেশন কাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে আবাহনী লিমিটেড। রোববার বঙ্গন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তারা ২-১ গোলে হারিয়েছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে।

কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের অন্য ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশ ১-০ গোলে জিতেছে ফেনী সকার ক্লাবের বিপক্ষে। পুলিশের জয়ের নায়ক মফিজুর রহমান। ৫৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে একমাত্র গোলটি করেন তিনি।

টানা দুই ম্যাচ জয়ের সুবাদে আবাহনীর সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। নিজেদের প্রথম ম্যাচে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা পুলিশকে ৬-০ গোলে হারিয়েছিল। তূলনামূলক ভালো খেলেও বড় ব্যবধানে জিততে পারেনি আবাহনী। প্রথম গোলের জন্য অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ১৮ মিনিটে আকাশী-হলুদ জার্সিধারীরা এগিয়ে যায় নাইজেরীয় স্ট্রাইকার লাকি পলের গোলে। ওয়ালী ফয়সালের ভাসিয়ে দেয়া বল প্রতিপক্ষের পোস্ট লক্ষ্য করে হেড করেন ঘানার স্ট্রাইকার থুয়াম ফ্রাঙ্ক। আরামবাগের গোলরক্ষক মোস্তাফিজ পাঞ্চ করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। আলতো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন পল।

২৫ মিনিট ব্যবধান দ্বিগুন করতে পারতো আবাহনী। ফ্রাঙ্কের ঠেলে দেয়া বল ধরে বিপদ-সীমানায় ঢুকে পড়েন পল। তার জোরালো শটে হাত ছুঁইয়ে কর্নারের বিনিময়ে কোনো রকমে দলকে বিপদ থেকে রক্ষা করেন মোস্তাফিজ। প্রধমার্ধে আবাহনী আর গোলের দেখা পায়নি। ৬৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন ফ্রাঙ্ক। লাকির পাস থেকে আড়াআড়ি শটে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। দুই গোলে পিছিয়ে পড়লেও হাল ছেড়ে দেয়নি আরামবাগ। ৮৩ মিনিটে ব্যবধান কমান মোহাম্মদ মামুন। আবাহনীর ডিফেন্ডার মামুন মিয়া সতীর্থ ঘানার ডিফেন্ডার সামাদ ইউসুফকে ব্যাকপাস করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মাঝপথে বল ধরে নিয়ে শট নেন আরামাগের এলিটা। আবাহনীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল ফিস্ট করলে ফিরতি শটে ব্যবধান ২-১এ নামিয়ে আনেন মামুন।

শেষ মুহূর্তে সমতা নিয়ে আসার সুযোগও পেয়েছিলো আরামবাগ। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে না পারায় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

শেষ আট নিশ্চিত হলেও এই জয়ে মোটেই সন্তুষ্ট নন আবাহনীর ইরানি কোচ আলী আকবর পোরমুসলিনি। তিনি বলেন, “প্রথমার্ধে ভালো খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে দল একেবারেই অগোছালো ছিলো। বিশেষ করে শেষ ১৫ মিনিট খুবই খারাপ খেলেছে আমাদের দল।”

“তাছাড়া ডিফেন্ডাররা অনেক ভুল করেছে। তাই একটি গোল খেতে হয়েছে। আরামবাগও ভালো খেলেছে,” যোগ করেন তিনি।

আরামবাগ কোচ কাজী জলি হারের জন্য রেফারিকে দুষছেন। তিনি বলেন, “রেফারি আমাদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করেছেন। তিনি আমাদের একটি পেনাল্টি দেননি। খেলার শুরুতে বক্সের ভেতরে আবাহনীর এক ডিফেন্ডারের হাতে বল লাগলেও রেফারি তা এড়িয়ে যান।”
“অবশ্য আমাদের দলের খেলোয়াড়দের বোঝা-পড়ায় অনেক ঘাটতিও ছিল। নিয়মিত অনুশীলন করতে না পারায় এই সমস্যা হয়েছে,” যোগ করেন তিনি।

সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও অগ্রণী ব্যাংক এবং কমলাপুর স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও ভিক্টেরিয়া এসসি মুখোমুখি হবে।
-আজকের বাংলা