ইউনিলিভারের বিক্রয় প্রতিনিধি সুমন দাস হত্যা মামলাটি ৬ মাসের মধ্যে নিস্পত্তির জন্য উচ্চ আদালতের নিদের্শ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়া থানার বহুল আলোচিত ইউনিলিভারের বিক্রয় প্রতিনিধি সুমন দাস হত্যা মামলাটি আগামি ৬ মাসের মধ্যে নিস্পত্তির জন্য বরিশালের জেলা ও দায়রা জজকে নিদের্শ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি আদেশের কপি বরিশাল আদালতে এসে পৌঁছেছে। আদালত সুত্রে জানা গেছে, গত ১৩ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মুহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর সমন্বয় গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ ঐ নিদের্শ দেন।

মামলার নথি সুত্রে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দরের ইউনিলিভারের পরিবেশক মেসার্স আ. মজিদ মিয়া এন্ড সন্সে সুমন দাস (২২)  বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করত। ২০০৮ সালের ১৬ এপ্রিল আগৈলঝাড়ার পয়সারহাট বিক্রিত মালের টাকা উত্তোলন করতে গেলে তিনি নিখোঁজ হন। নিখোঁজের দুইদিন পর পয়সারহাট সংলগ্ন নদীতে বস্তা বন্দী তার লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভগ্নিপতি জিত কুমার দাস বাদি হয়ে আগৈলঝাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পয়সারহাটের মুদি দোকানী পলাশ বখতিয়ার ও রুহুল আমীনকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তাদের স্বীকাররোক্তী অনুযায়ী সুমনের কাছ থেকে লুন্ঠিত টাকা ও হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত আলামত জব্দ করে। গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন। মামলার তদন্দকারী  কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সফিকুর ইসলাম দীর্ঘ তদন্ত ও স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ নেয়া শেষে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে বরিশাল চিফ জুডিশিয়াল আদালতে চারশীট দাখিল করেন। দীর্ঘ দিনেও বিচার কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় মামলার বাদি উচ্চ আদালতে আবেদন করেন।