আর্কাইভ

দাউদকান্দিতে স্বামী স্ত্রী’র পরিচয়ে অবৈধ বসবাস – এলাকাবাসীর ক্ষোভ

মাহ্ফুজ ইসলাম শিপ্লু, দাউদকান্দি ॥ দাউদকান্দিতে স্বামী-স্ত্রী’র পরিচয়ে অবৈধভাবে বসবাসের ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। দাউদকান্দি উপজেলার মোহাম্মদপুর পশ্চিম স্বামী স্ত্রী’র পরিচয়ে অবৈধ বসবাস - এলাকাবাসীর ক্ষোভইউনিয়নের দরজখোলা গ্রামের মিজান ভূঁইয়ার ছেলে সোহাগ ভূঁইয়া পার্শ্ববর্তি মোহাম্মদপুর পূর্ব ইউনিয়নের তালেরছেও গ্রামের আঃ মালেক চৌধুরীর কন্যা নবগ্রাম আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী সোহানা সিদ্দিকাকে (১৪) নিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর পালিয়ে যায়। পালানোর কয়েক দিন পর সোহাগ ভূঁইয়া সোহানা সিদ্দিকাকে নিয়ে তার গ্রামের বাড়িতে এসে বসাবাস শুরু করে। গ্রামবাসী তাদের সর্ম্পক জানতে চাইলে, তারা স্বামী-স্ত্রী’র দাবি করেন। কিন্তু তারা কাজী অফিসের ঠিকানা ও বিয়ের স্বাক্ষীদের নাম এবং কাবিননামা দেখাতে না পারায় গ্রামবাসী বিষয়টি সন্দেহের চোখে দেখেন এবং সোহাগের বেপরোয়া চলাফেরায় অনেকে ভয়ে তটস্থ বলে জানান। এ নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও আতংক বিরাজ করছে।

গ্রামবাসীদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক কয়েকজন জানান, একটি সভ্য সমাজে কোন প্রমাণপত্র বা বিয়ের স্বাক্ষী ছাড়া এ সর্ম্পক মেনে নেয়া যায়না। নবগ্রাম আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোর্শেদা বেগম জানান, স্কুলের রেজিষ্টার খাতায় জন্ম তারিখ (১০-১২-১৯৯৮ইং) অনুসারে মেয়েটির বিয়ের বয়স এখনো হয়নি। মোহাম্মদপুর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজালাল বলেন, বিয়ের নামে এ ধরনের অবৈধ মেলামেশা কাম্য নয়। এতে সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি যুব সমাজও ধ্বংশের দিকে ধাবিত হয়। তাছাড়া সমাজের লোকজনের অনুপস্থিতিতে এবং কোন প্রমাণপত্র ছাড়া আমরা এটিকে বিয়ে বলতে পারিনা। এছাড়া আমি তাকে কোন জন্ম নিবন্ধন সাটিফিকেটও দেয়নি।

মেয়ের মা খালেদা ইয়াছমিন জানান, বিয়ে হয়েছে কিনা তা জানিনা, আমি জরুরি কাজে বাহিরে গিয়েছিলাম। ফিরে দেখি সোহানা ঘরে নেই। তবে এ ধরনের অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া যায়না এবং তার বিয়ের বয়সও হয়নি, সে আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়েছে।

এ ব্যাপারে সোহাগ ভূঁইয়া ও তার মায়ের সাথে আলাপকালে তারা বিয়ের কোন কাজগপত্র বা প্রমাণ দেখাতে পারেননি। বিষয়টি গৌরীপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে অবগত করলে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না। আইনগতভাবে এর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে দাউদকান্দি ইভটিজিং ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক কবি ও কলামিস্ট মো. আলী আশরাফ খান বলেন,‘এলাকায় গিয়ে যতটুকু জেনেছি, ছেলেটি সন্ত্রাসী কর্মকারে সঙ্গে জড়িত। মেয়ের অভিভাবক তার ভয়ে আইনের আশ্রয় নিতে পারছে না।’ প্রশাসনের উচিৎ এ অবৈধ মেলামেশা বন্ধ করে মেয়েটির পরিবারকে আইনি সহায়তায় এগিয়ে আসা।’

এদিকে মোহাম্মদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়াম্যান এড: শামছুল হকের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে গ্রামবাসীরা উপজেলা প্রশাসনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান।

আরও পড়ুন

Back to top button