Menu Close

হে বাংলাদেশী তরুণ কোনটা চাও?

মনির উদ্দিন আহমেদ বাদল ॥ হে তরুণ  কোনটা চাও? বাংলাদেশ বদলে যাক? না বাংলাদেশকে বদলে দিতে চাও? বাংলাদেশ বদলে যাক। ইস কেউ এসে যদি বাংলাদেশ কে বদলে দিতে! এক জন মাহাথির এসে বাংলাদেশকে বদলে দিলে কতই না ভাল হত! এমনই যদি হয় চাওয়া, তাহলে তো তোমার তেমন কিছু করার নাই।

মাহাথির আসবে কি আসবে না, আসলে কখন আসবে তা তো তোমার নিয়ন্ত্রনে নাই। তাই মাহাথিরের আগমনের আশায় বসে থাক। কিছু করতে চাইলে বড় জোর সর্বশক্তি মানের কাছে হাত তোলে প্রার্থনা করতে পার। এই লিখাটার বাকীটুকুও আর পড়ার দরকার নাই।

আর যদি বদলে দিতে চাও, তাহলে ভিন্ন কথা। বাংলাদেশকে বদলে দিতে চাইলে আগে জানতে হবে বদলে দেওয়া বলতে কি বোঝায়, কোথায় থেকে শুরু করতে হবে, কবে কখন শুরু করতে হবে, বদলে দিতে হলে কি কি করতে হবে, কি টুলসই বা দরকার, কি দক্ষতাই বা অর্জন করতে হবে।

তাহলে চলো আলোচনা করি, বদলে দেওয়া কি, কোথায় থেকে শুরু করতে হয়, কিভাবে করতে হয়, কি কি লাগে এর জন্য ইত্যাদি।

প্রথমেই বলে নেই বদলে দেওয়ার মাধ্যমে আমরা চাই মুলত উন্নতি, কিন্তু বদলে দেওয়া মানেই উন্নতি না। তবে বদলে না দিলে, না গেলে উন্নতি হয় না। (No change, no improvement  but change doesn’t bring improvement always)।

অনেক দিন যদি না শোন, কেউ একজন বলছে তুই অনেক বদলে গেছিস, তাহলে বোঝতে হবে তোমার কোন উন্নতি হয় নাই। হয়ত অবনতিও হয় নাই। তবে দীর্ঘ সময়ে কোন উন্নতি না হওয়াও এক ধরনের অবনতিই। কি মনে করো?

আর বদলে দেওয়া হচ্ছে একটা প্রক্রিয়া, এটা কোন ইভেন্ট না। হঠাৎ কেউ বদলায় না, একটা দেশ তো নয়ই। তাই এর জন্য পরিকল্পনা লাগে, প্রস্তুতি লাগে, প্রশিক্ষন লাগে, ধৈর্য্য লাগে, পরিবর্তন হচ্ছে কিনা তা মাপতে জানতে হয়, পরিবর্তনকে অনুভব করতে পারতে হয়।

তাই কোন পরিকল্পনা আর প্রস্তুতি ছাড়া যারা দিন বদল করতে চেয়েছিল ওবামার শ্লোগান নকল করে, তাদের কথা, আচার আচরণ আর কাজে তাই আমরা কোন পরিবর্তন আমরা দেখি না। তারা তোমাদের হতাশ করেছে। তাছাড়া বদলে যাও বদলে দাও বলে বুলি আওড়ালেও, এটা করব না, সেটা করব না বলে শপথ করেও নিজেকে বদলানো যায় না।

যাই হোক, পরিবর্তন সম্পর্কে সামান্য ধারনা পাওয়া গেল। এবার আসা যাক কোথায় থেকে, কবে শুরু করতে হবে আর কি পরিবর্তন করতে হবে। Charity begins at home. Where should change start?

হ্যা, নিজেকে পরিবর্তনের মাধ্যমেই দেশের পরিবর্তন শুরু করতে হবে। নিজের কি পরিবর্তন করতে হবে, কি বদলে দিতে হবে, কি উন্নত করতে হবে নিজের? মাথায় চুলের স্টাইল, শার্ট–প্যান্টের ব্যার্ন্ড? পায়ের জুতা? আপাতত বাইরের কিছু বদলাবার দরকার নাই। প্রথমে বদলাতে হবে মাথার ভিতরে। তবে মগজ না। বদলাতে হবে চিন্তা, চিন্তার মান উন্নত করতে হবে। চিন্তা কে উন্নত করতে হবে। তাহলে সব বদলে যাবে এমনিতেই। চিন্তা বদলালে মুখ দিয়ে উচ্চারিত শব্দ বদলাবে, আচার-ব্যবহার বদলাবে, চারপাশের মানুষের সাথে সম্পর্কও বদলাবে। সব কিছুই বদলে যাবে। পোশাক আষাক, জুতা মোজাও বদলে যেতে পারে। কারন “Thoughts are the seed of all of our actions and behaviors”

এখন প্রশ্ন হচ্ছে চিন্তা বদলাবে কিভাবে? এমনি এমনি চিন্তা বদলাবে না, উন্নত হবে না। এর জন্য সময় দিতে হবে, পড়াশোনা করতে হবে। প্রশ্ন করতে শিখতে হবে। ব্লগের লেখা, পত্রিকার কলাম এর সাথে সাথে বই পড়তে হবে। আর পত্রিকা পড়তে হবে দুই দিক থেকেই। সরকার সমর্থক, সরকার বিরুধী উভয় পক্ষের। বামপন্থি পত্রিকা যেমন পড়তে হবে, তেমনি ডানপন্থি পত্রিকাও পড়তে হবে। আর যা পড়া হবে তাই যাচাই বাছাই ছাড়াই বিশ্বাস করলে চলবে না। যা বলে হচ্ছে তা বাস্তবতার সাথে মিলে কিনা, মানুষের স্বভাবের সাথে মিলে কিনা, যিনি বলছেন এতে তার স্বার্থ জড়িত আছে কিনা, ইত্যাদি নানা এঙ্গেল থেকে প্রশ্ন করে যাচাই বাছাই করেই তবে তা বিশ্বাস করতে হবে। তা না হলে বার বার বিশ্বাস করে প্রতারিত হতে হবে। গ্লাস পুরাটাই ভর্তি বা খালি দেখার অভ্যাস গড়ে উঠবে, গ্লাস যে অর্ধেক পানিতে আর অর্ধেক বাতাসে পুর্ন, সেটা দেখার বা বোঝার ক্ষমতা হবে না। ব্যালান্সড চিন্তা করার ক্ষমতা হবে না, ফলে জীবন ও ব্যালান্সড হবে না। বই পড়ার ক্ষেত্রেও আমাদেরকে মনে রাখতে হবে গল্প উপন্যাস পড়ে আমরা নিজেদের চিন্তার খুব একটা পরিবর্তন করতে পারব না। আমি গল্প উপন্যাস পড়তে নিষেধ করছি না তবে আমাদের মনে রাখতে হবে আমাদের সময় সীমিত। তাই আমাদের টার্গেটেড পড়াশোনা করতে হবে। আমাদের নিজেদের পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে আমাদেরকে নিজ নিজ ধর্মের বই গুলি আবার নতুন করে পড়তে হবে। সাথে আমি স্টারটিং বই হিসেবে দুইটি বই এর নাম বলতে পারি-

1. The Magic of Thinking Big by David J. Schwartz
2. The Seven Habits of Highly Effective people by Stephen Covey.

বই দুটিই গুগল এ পিডিএফ কপি  ফ্রি পাওয়া যায়। গুগল থেকে বই দুটি ডাউনলোড করে পড়া শুরু করার মাধ্যমে আজই শুরু করতে হবে পরিবর্তন আনার প্রক্রিয়াটার। এই বই দুটি দিয়ে শুরু করে আমাদের মাসে অন্তত একটা বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলতে হবে। (কি ধরনের বই কে আমাদের পাঠ্য তালিকার প্রধান বই করতে হবে তার উদাহরন এই দুইটা বই) তা হলেই আমাদের চিন্তার ক্রমাগত উন্নয়ন হবে। আমরা উন্নত হব। মনে রাখতে হবে, চিন্তার উন্নয়ন না হলে কোন উন্নয়ন হবে না, না হবে আমাদের কথা উন্নত, না হবে আমাদের আচরন উন্নত, না হবে আমাদের কাজ কর্ম উন্নত। না হবে আমাদের দেশ উন্নত।

চিন্তা বদলালে, মানে উন্নত হলে কি হবে? পরিবর্তন আনার জন্য সবচেয়ে দরকারী যে অস্ত্র বা টুলটা দরকার সেটা উন্নত হবে? সেটা আবার কি? সেটা হচ্ছে, কথা, ভাষা, শব্দ। খেয়াল কর নাই, আমাদের নেতা নেত্রীদের একটা কথার ফলে দেশে কেমন পরিবর্তন আসে? কোন কোন কথার কারনে দেশে অস্থিরতা তৈরী হয়, দলে দলে তিক্ততা তৈরী হয়, আমরা বিরক্ত হই, হতাশ হই। কখনও কখনও কথার কারণে আমাদের মাঝে আশার সঞ্চার হয়। নির্বাচনের আগে তো আমরা কথার ফুলঝুরিতেই প্রভাবিত হই, ভোট দেই। কথার মাধ্যমেই যারা আমাদের আস্থা অর্জন করতে পারে, তারাই ক্ষমতায় আসে। বংগবন্ধু শেখ মুজিব কি দিয়ে বাঙ্গালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে ছিলেন, উনার ভাষন, যা মুলত কথা বা শব্দের সুন্দর গাথুনীর মালা, ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে?  জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে জাতিকে উজ্জীবিত করেছিলেন সেও তো তার ঘোষনার মাধ্যমেই। ব্লগ আর ফেসবুকের কারনে আমরা যে পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি, তার চালিকা শক্তি কি? আমাদের স্ট্যাটাস, মন্তব্য, নোট এসবই তো? এসব আমাদের কথা বা শব্দের সমষ্টিই ত? না অন্য কিছু? তার মানে পরিবর্তনের শুরু কথা দিয়ে। আর এসব কথা আসে আমাদের চিন্তার নদী বেয়েই, তাই না? বর্তমান সময়ের অন্যতম পারসনাল ফিনান্সিয়াল এক্সপার্ট, রবার্ট কিয়োসাকির ভাষায় “If you want to change your life, begin by changing your words”।

মুল কথা হচ্ছে, কথা বা লিখিত বা উচ্চারিত শব্দই হচ্ছে আমাদের প্রথম ও প্রধান অস্ত্র পরিবর্তন আনার জন্য। তাই পরিবর্তন আনতে হলে আমাদের কথার ভান্ডার সমৃদ্ধ করতে হবে। আবারো রবার্ট কিয়োসাকির ভাষায় “If you enrich your vocabulary, you will enrich your life”

কখন কোন শব্দটাকে এবং কিভাবে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায় তাও আমাদের জানতে হবে। তাতে আমরা শুধু আমাদের জীবনকে বদলাব না, আমাদের আশেপাশের মানুষদেরকে কে বদলে দিতে পারব।

আমি ছোট্ট একটা উদাহন দেই- তোমার বন্ধুর কোন কথা যা তুমি ঠিক না বলে মনে কর, তা প্রকাশ করতে গিয়ে যদি বল “তোমার কথা ভুয়া” তাহলে দেখবে কেমন প্রতিক্রিয়া হয় আর যদি বল “তোমার কথা ভুল” তাহলে প্রতিক্রিয়া কেমন প্রতিক্রিয়া হয়। ভুয়া আর ভুল দুই শব্দের অর্থগত পার্থক্য কম হলে প্রতিক্রিয়ায় পার্থক্য কিন্তু অনেক।

চারপাশ, মানে চারপাশের মানুষ, বদলাতে হলে এর জন্যও উদ্যোগ নিতে হবে। তার আগে জানতে হবে কিভাবে মানুষকে বদলাতে হবে। এর জন্য কি টুলস দরকার, সেই টুলস গুলি কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। নিজেকে বদলাতে হলে যেমন চিন্তা বদলাতে হয়, তেমনি চার পাশের মানুষকে বদলাতে হলেও তাদের চিন্তার পরিবর্তনের উদ্যোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে যে টুলসটা বেশী কার্যকরী তা হচ্ছে প্রশ্ন করার দক্ষতা। মানুষের চিন্তার জগতে পরিবর্তন আনতে হলে তার চিন্তাকে, যা তার আচার ব্যবহার, কথা বার্তা আর কার্যক্রম থেকে বোঝা যায়, পরিবর্তন করতে হবে। আদেশ, উপদেশ বা পরামর্শ দিয়ে মানুষের চিন্তা খুব একটা পরিবর্তন করা যায় না। চিন্তার পরিবর্তন করতে হলে সেটাকে  চ্যালেঞ্জ করতে হবে, দেখাতে হবে যে তার চিন্তা ব্যাকডেটেড, ভুল, তার নিজের জন্য, চারপাশের মানুষের জন্য দেশের জন্য ক্ষতিকর। আর তা করার সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র হচ্ছে প্রশ্ন। আমাদের মনে রাখতে হবে “Asking good questions is productive, positive, creative, and can get us what we want”। আর এই প্রশ্ন করার দক্ষতার উপর নির্ভর করবে আমরা আমাদের চার পাশ কতটুকু পরিবর্তন করতে পারব। আমরা যদি এই দক্ষতা অর্জন করতে পারি, তা আমাদের ব্যক্তি, পারিবারিক, প্রফেশনাল জীবন সব ক্ষেত্রেই খুব কাজে দিবে। যেমন আমাদের দেশের অনেক লোক এখনো নিজ দলের নেতাদের অদক্ষতা, দুর্নীতিকে চোখ বুজে সমর্থন করে। এধরনের লোকদের বকাঝকা করে বা সমর্থন না করার জন্য পরামর্শ দিয়ে তেমন পরিবর্তন হবে না, যতটুকু হবে প্রশ্ন করার মাধ্যমে। সারাদেশের রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থার পরও যারা এর জন্য দায়ী লোকদের পক্ষে কথা বলে তাদের কে প্রশ্ন করে দেখতে পারেন, আচ্ছা রাস্তা ঘাটের এই অবস্থার জন্য কি শুধু বিরোধী দলের লোকদের সমস্যা হচ্ছে, না আপনার মত সরকারী দলের সমর্থক লোকদেরও হচ্ছে? এরপর ও কি একে সমর্থন করতে হবে? এভাবে প্রশ্ন করলে এসব লোককে যতটুকু প্রভাবিত করা যাবে, অন্যভাবে তা যাবে না। মুল কথা হচ্ছে, মানুষকে প্রভাবিত করার সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে, তার চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ করে প্রশ্ন করা।

আর চারপাশের মানুষ বদলাতে চাইলে যে বইটা পড়ার মাধ্যমে তার প্রস্তুতি শুরু করতে হবে,  তা হচ্ছে ডেল কার্নেগির সেই বিখ্যাত বইটা “How to win friends and Influence people”। এই বইটির ও ফ্রি পিডিএফ কপি গুগল এ পাওয়া যায়। লিডারশীপ এক্সপার্টদের মতে, এই বইটা হচ্ছে, মানুষকে প্রভাবিত করার জন্য যেসব বই আছে তাদের মধ্যে বাইবেলতূল্য। বাংলা অনুবাদ পড়ে থাকলে অনেকেরই এই বইটা সম্পর্কে খারাপ ধারনা আছে। কিন্তু পড়তে হবে এর ইংলিশ ভার্সন। পড়ার সাথে এর টিপস আর টেকনিক্সগুলি প্রতিদিনের  পারিবারিক, সামাজিক ও প্রফেশনাল জীবনে প্রয়োগ করে দেখতে হবে কাজ করে কিনা। করবে সে ব্যাপারে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই। প্রয়োগ করে যদি দেখ তোমার আশেপাশের মানুষগুলির সাথে তোমার সম্পর্ক উন্নত হয়েছে, তাহলে বুঝতে হবে যে তুমি তাদেরকে অন্তত তোমার জন্য পরিবর্তন করতে পেরেছে। আরো বেশি বেশী মানুষকে পরিবর্তন করার জন্য তুমি এখন ফোকাস করতে পার, একদিন সারা দেশকে পরিবর্তন করার মত আত্নবিশ্বাসী হয়ে উঠবে তোমাদের মধ্য থেকেই আজকে শুরু করাদের একজন। দেখবে খুব দ্রুতই বদলে গেছে বাংলাদেশ। তোমাদেরি কেউ একজন হয়ে গেছ পরিবর্তনের মডেল, হয়ে গেছ বাংলাদেশের মাহাথির বা লিকুইয়ান, যদিও পরিচিত হবে নিজ নামে। অন্য কোন দেশ তখন তোমার মত চেঞ্জমেকার চাইবে। আজ আমরা যেমন চাই একজন মাহাথির।

সব কথার শেষ কথা, “Change never has happened because majority people just desired it. Changes always occur due to few committed people”- Yasir Fazaga.

আমাদের ও কিছু কমিটেড লোক দরকার যারা নিজেদের পরিবর্তন করার মাধ্যমে দেশকে পরিবর্তন করার কাজ শুরু করবে। মাহাথিরের মত কেউ এসে পরিবর্তন করে দিবে, সেই আশায় বসে থাকবে না।

সবশেষে তিনটা প্রশ্ন  যার উত্তর জানা থাকলে সামনে তোমার সুন্দর ভবিষ্যত-

১। তোমার জীবনের কি কোন লক্ষ্য স্থির করেছ? বলো না যে ডাক্তার, ব্যারিষ্টার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রোগ্রামার হওয়া তোমার জীবনের লক্ষ্য। এগুলি লক্ষ্য পুরনের উপায় হতে পারে বড় জোর, কিন্তু জীবনের লক্ষ্য হতে পারে না।

২। তুমি কি নিজেকে চেন? সৃষ্টিকর্তা তোমাকে কোন কোন বিষয়ে শক্তিশালী আর কোন কোন বিষয়ে একটু দুর্বল করে দিয়েছে? তিনটি করে তোমার স্ট্যাংথ আর উয়িকনেস বলতে পারবে?

৩। তোমার প্যাশন কি? কোন জিনিসগুলি তোমাকে এনারজাইজ, এক্সাইটেড, মোটিভেট আর ইন্সপায়ারড করে?

ফেসবুক : facebook.com/MUAhmed.Badal