আগৈলঝাড়ায় ইরি-বোরো চাষাবাদের জন্য কৃষকদের গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত লক্ষ লক্ষ টাকা

অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া ॥ বরিশালের আগৈলঝাড়ায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে বিদ্যুৎ ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারনে কৃষকদের লক্ষ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত গুনতে হচ্ছে। উৎপাদন খরচের চেয়ে কৃষকরা বাজারে ধান বিক্রি করতে গিয়ে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত রয়েছে। একারণে অনেকে কৃষিকাজ ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। জানা গেছে, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে প্রায় ১০হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে হাইব্রিড ২হাজার ৪শ’ ১৮ হেক্টর, উফশী বোরো ৭হাজার ৪শ’ হেক্টর জমি চাষের আওয়ায় নেয়া হয়েছে বলে কৃষি অফিসসূত্রে জানা গেছে। এজন্য বিদ্যুৎ চালিত ১০৮টি ও ডিজেল চালিত ৬৬০টি সেচপাম্প ব্যবহার করে ইরি-বোরো চাষাবাদ করা হবে। গতবছর বিদ্যুৎ চালিত সেচপাম্পের আওতায় চাষাবাদকৃত জমির ২০ শতকে ৩শ’ টাকা দেয়া হত। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সেই একই জমিতে চলতি মৌসুমে ২০শতক জমিতে সেচের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪শ’ ৫০টাকা। গতবছর ডিজেল চালিত সেচপাম্পের আওয়াতায় ৩শ’ ৫০ টাকায় ২০শতক জমি চাষাবাদ করা যেত। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সেই জমি চাষ করতে চলতি বছরে ৫শ’ টাকা নির্ধারণ করেছে ব্লক ম্যানেজাররা। ডিজেল ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারণে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে জনপ্রতি কৃষকদের কাছ থেকে চলতিবছরে ইরি-বোরো চাষাবাদের জন্য গতবছরের তুলনায় চলতি বছরে ১শ’ ৫০ টাকা অতিরিক্ত নেয়া হচ্ছে। তারপরেও কৃষকরা উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। একারণে অনেক কৃষক বর্তমানে কৃষিকাজ ছেড়ে অন্য পেশাকে বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে। আর এ অবস্থা চলতে থাকলে ফসল উৎপাদনে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা দারুনভাবে ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।