“জীবনের প্রথম ভোট দিয়েছি : খুবই আনন্দ লাগছে”

গৌরনদী সংবাদদাতা ॥ “ভোট কি জানতাম না। আজ আমার জীবনের প্রথম ভোট আমিই দিয়েছি। তাই আমার কাছে আজ খুবই আনন্দের দিন”। আনন্দে আত্মহারা হয়ে কথাগুলো বলছিলো পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ুয়া মহুয়া বিনতে মোস্তফা। এ কথা শুধু মহুয়ার একারই নয় একইভাবে বললো চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থী মীম জমাদ্দার, শেফাতুর রহমান, মিথিলা কুমকুম, শৈলী বিনতে ফিরোজ, উন্মনা অর্পা দাস, সুরাইয়া আক্তারসহ অনেকেই। আজ শনিবারই কেবল ওরা নিজেদের ভোট নিজেরাই দিয়েছে। বরিশালের গৌরনদী পৌর সদরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লাখেরাজ কসবা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে ভোট দেয়ার জন্য কোমলমতি শিশুদের দীর্ঘ লাইন।

মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হোসনেয়ারা বেগম জানান, প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে ভর্তির হার বৃদ্ধি, ঝরে পড়া রোধ, উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করা আর শিশুদের মাঝে গণতন্ত্র চর্চার ব্যতিক্রমী আয়োজনে ছাত্র পরিষদ বা স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে নির্বাচনের কার্যক্রম। শিশুরাই ভোট দিয়ে নিজেদের মধ্য থেকে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছে। দক্ষিণ বিজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পদকপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মোঃ মুনসুর আহম্মেদ জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ও এর অধীন সকল প্রতিষ্ঠানের তত্তাবধানে নির্বাচন কমিশনার, প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারের দায়িত্ব শিশুরাই পালন করেছে। ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মডেল স্কুলে ২০ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করে। এরমধ্যে নির্বাচিত হয়েছে ৭ জন। লাখেরাজ কসবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কুতুব উদ্দিন জানান, তার স্কুলে ১০ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদন্ধীতা করে। এরমধ্যে নির্বাচিত হয়েছে ৭ জন।