মেহেন্দিগঞ্জের নদীতে অবৈধ কারেন্ট জালের ছড়াছাড়ি – প্রশাসন নিরব

উম্মে রুমান, বরিশাল ॥ বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের বিভিন্ন নদ-নদীতে অবৈধ কারেন্ট জালের ছড়াছড়ি। সরকারের নির্দেশকে অমান্যতা করে এক শ্রেনীর অসাধু জেলেরা স্থানীয় প্রভাবশালীদের ও মৎস কর্মকর্তাকে  কে ম্যানেজ করে দিন রাত অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ  ধরে বলে জানা যায়।

সূত্রে জানায় মেহেন্দিগঞ্জের দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের বামনেরচর এলাকায় জেলের সংখ্যা শতকরা ৬৫% বলে ধারনা করছে এলাকাবাসী। অপর দিকে প্রশাসনের কোন নজর নেই যে নদীতে অবাধে দিন রাত ঝাটকা ধরছে। সরকারের নিষেধ আছে যে ৯ ইঞ্চির ছোট ইলিশ মাছ ধরা ও বিক্রি এমনকি কোন যানবহনে কিংবা পরিবহন যোগে নেওয়া যাবে না। তা হলে আইনত দন্ডীয়ত উভয় অপরাধি  কেউ এই আইন মানছে না।

গতকাল বামনেরচর এলাকায় দেখা গেছে কারেন্ট জালের নৌকার বহর সারি বদ্ধ ভাবে সাজানো কথা হয় জেলে আনসার বয়াতির,হারুন বয়াতী,নাসির উদ্দিন  তারা  বলেন প্রভাবশালী নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে আমরা নদীতে মাছ ধরি নেতারা মেহেন্দিগঞ্জের প্রশাসন ও মৎস কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে। অভিযান নদীতে হলেই আমাদের কাছে সর্ব প্রথম খবর আসলে আমরা সে দিন নদীতে যাইনা। আরো কথা হয় স্থানীয় সুশীল সমাজ লোকেদের সাথে তারা জানায় সরকার জেলেদের মধ্যে অনেক সুযোগ সুবিধা দিলে ও সুবিধা ভোগ করে নদীতে ঝাটকা মাছ ধরতে ভূল করে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউপি সদস্য জানায় নদীতে অভিযানে কোষ্ট গার্ড আসলেও জেলেরা তাদের নৌকায় নিশান উড়িয়ে মাছ ধরে তাহলেও কোষ্ট গার্ডেরা ঐ জেলেদের ধরে না। গোপনে কোষ্ট গার্ড টাকায় ম্যানেজ হয়ে যায়। অতপর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেখানোর জন্য নাম মাত্রায় ৩/৪টি কারেন্ট জাল ধরে নিয়ে যায়।

এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানাযায় যে মৎস কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে নদীতে ঝাটকা মাছ ধরে কোন সময় দেখিনা যে মৎস কর্মকর্ত আদেশ ও নির্দেশে মাইকিং ও লিফলেট কিংবা ব্যানার দেয় বসে বসে মাসেয়ারা নেয় আর প্রতি মাসে সরকার থেকে বেতন উত্তোলন করে। এ নিয়ে চলছে জনমনে অনেক প্রশ্ন এ ব্যাপারে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা মৎস কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন অব্যাহত ভাবে অভিযান চলে তবে কারেন্ট জাল নদীতে নেই কেউ আমাকে মাসোয়ারা দেয় না।