তত্ত্বাবধায়ক সরকার না দিলে বিদায় নিতে হবে -খালেদা জিয়া

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ আগামী ১২ মার্চের “চল চল ঢাকা চল” সমাবেশের পর এমন কর্মসূচি দেওয়া হবে যাতে সরকারকে হয় তত্ত্বাবধায়কের দাবি মানতে হবে, নইলে বিদায় নিতে হবে বলে হুশিয়ার করে দিলেন বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এছাড়া তাদের আর কোনো গতি থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আজ শনিবার বিকালে বিএনপির এক জনসভায় এ হুমকির পাশাপাশি সরকারকে কঠিন কর্মসূচি আসার আগেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি চেযারপারসন।

এদিকে ১২ মার্চের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হলে তার সব দায় আপনাদেরই নিতে হবে বলে আগে থেকে জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলীয় এ নেতা। তিনি বলেন, ঢাকা চলো কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হলে আমরা কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

গত জুনে সাংবিধানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হওয়ার পর থেকে তা পুনর্বহালের জন্য বিভিন্ন সভা সমাবেশসহ বিভিন্নভাবে দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। এ দাবিতে আগামী ১২ মার্চ ঢাকায় সমাবেশও করবে প্রধান বিরোধী দলটি।

দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আরও বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হতে হবে। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে অবশ্যই আওয়ামী লীগকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানতে হবে। বল এখন আপনাদের কোর্টে।

সংশোধিত সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়াদের শেষ ৯০ দিনে ‘অন্তবর্তী সরকারের’ অধীনে হওয়ার কথা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতো।

খালেদা জিয়া লক্ষ্মীপুরে আসছেন গত ২৯ জানুয়ারি বিএনপির গণমিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত দুজনের পরিবারকে সান্ত্বনা জানাতে। ওই দিন নিহতদের স্মরণে স্থানীয় বিএনপি এ জনসভা করে।

আগামী ১২ মার্চ রাজধানীতে বিএনপির সমাবেশে লক্ষ্মীপুরবাসীকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে খালেদা বলেন, মা-বোনেরা সবাই এই কর্মসূচিতে ঢাকায় আসবেন। আমরা এই সরকারকে বিদায় করতে শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক এই কর্মসূচি পালন করব।