চরমোনাইর মাহফিল শেষে গন্তব্যে ফিরতে লাখ লাখ মুসল্লীদের চরম দূর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালের চরমোনাইর মাহফিলের আখেরী মোনাজাত শেষে সোমবার সকাল থেকে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরতে লাখ লাখ মুসল্লীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। নৌ ও সড়ক পথে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত লঞ্চ না দেয়ায় মাহফিল শুরু হওয়ার প্রথমদিনেও ঢাকা থেকে মাহফিলে যোগ দিতে আসা হাজার-হাজার ধর্মপ্রান মুসল্লীদের সমস্যা পরতে হয়েছিলো। তিনদিনের মাহফিল শেষে গন্তব্যে ফিরতেও মুসুল্লীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

মাহফিল শেষ হওয়ার পর-পরই গতকাল সোমবার সকাল নয়টা থেকে কীর্তনখোলা নদীর তীরে গন্তব্যে ফিরতে ভীড় করতে থাকে লাখ লাখ মুসুল্লীরা। বিলাসবহুল দ্বিতল লঞ্চ থেকে শুরু করে একতলা লঞ্চ, ট্রলার, ইঞ্জিন চালিত নৌকা, স্পীডবোর্ড, এমনকি সাগরের মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত ট্রলারগুলো মুসল্লীদের পরিবহনে ব্যস্ত ছিল। একেকটি নৌ-যানের পাশ ঘেষে আরেকটি নৌ-যান অবস্থান নিলে নৌ-যানজটের সৃষ্টি হয়। ঢাকাগামী লঞ্চগুলোতে মুসুল্লীদের উপস্থিতিতে তিলধরনের ঠাঁই ছিলো না।

একই অবস্থা হয়েছে দুরপাল্লার পরিবহনের বেলায়ও। সোমবার বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে মুসুল্লীবাহি হাজার-হাজার দুরপাল্লার পরিবহনের তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি আজিজুল হক আক্কাস জানান, আগামী বছর চরমোনাইর মাহফিল উপলক্ষে অতিরিক্ত লঞ্চ চলাচলের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।

সোমবার চরমোনাইর তিনদিনের মাহফিলের আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে লাখ লাখ মুসল্লীরা অংশগ্রহন করেন। ভোরের আলো ফোটার পর পরই কীর্তনখোলা পাড়ি দিয়ে লাখ লাখ মুসল্লীরা মাহফিল ময়দারে জড়ো হয়। তারা অধিকাংশরাই মাহফিলের ময়দানে ঠাঁই না পেয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ঘরবাড়ি, ভবনের ছাঁদ ও গাছের মগডালে ওঠে মোনাজাতে শরীক হন। সকাল আটটায় লাখ-লাখ মুসল্লীর উপস্থিতিতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও ভ্রাতৃত্ব কামনায় আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সমাবেশ চরমোনাইর বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল সমাপ্ত হয়। আমিরুল মুজাহিদীন পীর সাহেব মাওলানা সৈয়দ মোঃ রেজাউল করিম আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন।