১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে এক এনজিও কর্মকর্তা

টরকী বন্দরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবুল খানের স্ত্রী হোসেনেয়ারা বেগম জানান, তিনি গ্রামীণ ব্যাংক টরকী শাখার আওতাধীন বড়কসবা ভূমিহীন মহিলা সমিতির সভানেত্রী। ওই কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মোস্তাফিজুর রহমান কৌশলে দু’দফায় ঋণ প্রস্তাবে তার স্বাক্ষর নিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ৯০ হাজার টাকা উত্তোলন করে সে (মোস্তাফিজুর রহমান) গাঁ ঢাকা দিয়েছে। সু-চতুর মোস্তাফিজুর রহমান একইভাবে কৌশলে ওই সমিতির রেহানা বেগমের নামে ৩০ হাজার, নিরু বেগমের নামে ৩০ হাজার, ফজিলা বেগমের নামে ১২ হাজার, আয়েশা বেগমের নামে ১২ হাজার, তাসলিমা বেগমের নামে ৬০ হাজার টাকা। উত্তর বিজয়পুর মহিলা সমিতির সভানেত্রী মুকুল বেগমের নামে ৩০ হাজার টাকাসহ বাউরগাতি, আনন্দপুর, সুন্দরী, কটকস্থল, রামনগর, বড় কসবা, উত্তর বিজয়পুর, তাঁরাকুপি, লাখেরাজ কসবা কেন্দ্রের শতাধিক সদস্যদের প্রায় ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গত ১ মার্চ গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমানের গাঁ ঢাকা দেয়ার খবর ছড়িয়ে পরলে সদস্যরা হতাশ হয়ে পরেন। ওইসময় শত শত সদস্য ও তাদের অভিভাবকরা গ্রামীণ ব্যাংক টরকী শাখায় ভীড় করেন। বাউরগাতি মহিলা সমিতির সদস্য মিনু বেগম জানান, ওই সময় গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের টাকা পরিশোধ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই টাকার জন্য বাড়িতে গিয়ে চাপ প্রয়োগ শুরু করেন। হোসনেয়ারা বেগমের অভিযোগ, গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত টাকার জন্য চাপ্র প্রয়োগ করে আসছেন। এছাড়াও তার দশ বছরের গ্রামীণ পেনশন ইস্কিম (জিপিএস) থেকে কর্তৃপক্ষ ২২ হাজার টাকা কেটে রেখেছেন। এখবর স্বামী জানতে পেরে প্রতিনিয়ত তাকে (হোসনেয়ারাকে) তালাক দেয়ার হুমকি দিচ্ছেন। স্বামীর অব্যাহত হুমকি ও শারিরীক নির্যাতনের ভয়ে সে কোলের শিশুকে নিয়ে অন্য বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। গত রবিবার হোসনেয়ারাসহ ৪/৫ জন মহিলা পলাতক মোস্তাফিজুর রহমানের পাশ্ববর্তী বাবুগঞ্জ থানার ঠাকুরমল্লিক গ্রামের বাড়িতে গেলে তার পিতা হাসান আলী হাওলাদার ও তার ভাই তাদের শারিরীক নির্যাতন করে তাড়িয়ে দেয়।
গ্রামীণ ব্যাংক টরকী শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ আশ্রাফুল ইসলাম মোস্তাফিজুর রহমানের গাঁ ঢাকা দেয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ১০ লক্ষ টাকা নয়, ব্যাংকের ১ লক্ষ ৫২ হাজার ও ব্যক্তিগত ভাবে সদস্যদের কাছ থেকে প্রায় ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।