রাজাকারের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের – ৩ বছর পর শাহনামা সম্পাদক সহ ৭ সাংবাদিককে অব্যাহতি

আহমেদ আবু জাফর, ঝালকাঠি ॥ রাজাকারের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর মানহানী মামলায় ঝালকাঠি আদালত থেকে প্রায় ৩ বছর পর অব্যাহতি পেয়েছেন দৈনিক শাহনামা সম্পাদকসহ ৭ সাংবাদিক। সোমবার দুপুরে সিনিয়র ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক নুসরাত জাহান আসামীদের অব্যাহতি দেন। আসামীরা হল বরিশালের দৈনিক শাহনামা সম্পাদক আলহাজ্জ্ব আবুল কালাম আজাদ, সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি ডা: শাহ মো: কেরামত আলী, নির্বাহী সম্পাদক নসরত শাহ আজাদ, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আমজাদ হুসাইন তালুকদার, সহ-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বার্তা সম্পাদক মামুনুর রশীদ নোমানী ও পত্রিকার রাজাপুর প্রতিনিধি আউয়াল গাজী।

আদালত সূত্রে প্রকাশ, রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন নুরুর বিরুদ্ধে গত ২০১০ সালের ১৪ জানুয়ারী দৈনিক শাহনামা পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় রাজাকারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগের সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এ কারনে শুধুমাত্র শাহনামার বিরুদ্ধে ৫০০, ৫০১, ৫০২, ৫০৪ ও ১০৯ দন্ডবিধি ধারায় সিআর ১৩/২০১০ (রাজাপুর) দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহন করে আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারী করা হয়।  

মামলার আসামী পক্ষের আইনজীবি এম মুনিরুল ইসলাম ভূইয়া মহারাজ জানান, মামলার বাদী নুরু চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন যাবত আদালতে হাজির না হওয়ার কারনে ফৌজদারী কার্যবিধির ২৪৭ ধারামতে আদালত আসামীদের খালাস প্রদান করেছেন।

মামলা থেকে বরিশালের ৭ সাংবাদিক অব্যাহতির ব্যাপারে ঝালকাঠি নাগরিক ফোরাম আহবায়ক আহমেদ আবু জাফর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দৈনিক শাহনামা পত্রিকায় রাজাপুরের চিহ্নিত রাজাকার হেমায়েত হোসেন নুরুর বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদটি ছিল যথার্থ। বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার দেশ থেকে যুদ্ধাপরাধীমুক্ত করতে চাইলেও অদৃশ্য ইশারায় সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। বিত্তশালী নুরু চেয়ারম্যানের মুক্তিযুদ্ধকালীন কর্মকান্ড তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবী করেন নাগরিক ফোরাম নেতৃবৃন্দ।