আহমেদ আবু জাফর, ঝালকাঠি ॥ ভয়ভীতি দেখিয়ে দু’চাকরী প্রার্থীকে পরীক্ষার হলত্যাগে বাধ্য করেছে ঝালকাঠি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ রাজ্জাক সেলিমের ব্যক্তিগত সহকারী, নিয়োগ প্রার্থী শেখ মনির ও তার লোকজন। নিজে প্রার্থী হয়ে তার ভাই শেখ মিলনসহ ৪০-৫০ জনের একটি ক্যাডারদল নিয়ে দুপুরে তান্ডব চালিয়েছে উপজেলা পরিষদ এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও ভয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ঐ দু’ প্রার্র্থী। এ ঘটনায় রোববার রাতে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। তারা অনুষ্ঠিত পরীক্ষা বাতিল করে পূন:পরীক্ষা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন। আজ সোমবার পরীক্ষার ফল ঘোষনা করা হবে বলে কার্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে।
অভিযোগে প্রকাশ, রোববার ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদের আওতায় দুটি পদে লোক নিয়োগের জন্য লিখিত, ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার দিন ধায্য করা হয়। প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম রোল-১২ তার লিখিত অভিযোগে উল্ল্যেখ করেন লিখিত পরীক্ষার নির্ধারিত সময় সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা সাড়ে ১১টায় শুরু করা হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আমিসহ সকল প্রার্থীরা উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ রাজ্জাক সেলিমের অফিস কক্ষের সামনে ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। তখন শেখ মনির ও তার লোকজন আমাকে ও অপর প্রার্থী মোল্লারহাট ইউনিয়নের বৈশাখিয়া গ্রামের লুৎফুর রহমানকে প্রকাশ্যে জীবননাশের হুমকি দিয়ে চাকরীর আশা ছেড়ে বাড়ি চলে যেতে বলে। আমরা এতে প্রতিবাদ করলে আমাদেরকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলা হবে বলেও হুমকী দেয় তারা। এ সময় তাদের সাথে বাকবিতন্ডা শুরু হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পুলিশের উপস্থিতিতে শেখ মনির ও তার লোকজন কৌশলে তাদের দু’জন প্রার্থীকে সাধনার মোড় পর্যন্ত তাড়িয়ে দেয়। পরীক্ষা দিতে আসতে না পারে এ জন্য পথে পাহারা বসিয়ে রাখা হয়।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহিম জানান, উপজেলা চত্ত্বরে এ ধরনের কিছু ঘটছে তা দেখিনাই। উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ রাজ্জাক সেলিম নিয়োগ পরীক্ষায় আমার কোন ভুমিকা নেই। নিয়োগের দায়িত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। প্রার্থী শেখ মনির জানান, এ ধরনের অভিযোগের কোন সত্যতা নেই।