মসজিদের মাইকে মুসুল্লীদের ঘোষনা দিয়ে আটক – বরিশালে বিপুল পরিমান বই-লিফলেট-সিডিসহ হিজবুতের ছয় মহিলা সদস্যকে পুলিশে সোর্পদ

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ দাজ্জাল ইহুদী খ্রীষ্টান সভ্যতার আইন বাস্তবায়নের আপত্তিকর লিফলেট ও চলমান ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আল্লাহর মুজেজা হিজবুত তওহীদের বিজয় ঘোষনার বই এবং জেহাদী সিডি বিতরনকালে এলাকাবাসি মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে ধাওয়া করে উগ্রপন্থি জঙ্গী সংগঠন হিজবুত তওহীদের ছয়জন মহিলা সদস্যকে আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার প্রত্যন্ত সরিকল ইউনিয়নের আধুনা গ্রামে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে ওইদিই মসজিদের মাইকে মুসুল্লীদের ঘোষনা দিয়ে আটক - বরিশালে বিপুল পরিমান বই-লিফলেট-সিডিসহ হিজবুতের ছয় মহিলা সদস্যকে পুলিশে সোর্পদআদালতে প্রেরন করা হয়।

মামলার বাদি ও সরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পুলিশ পরিদর্শন (এস.আই) মোঃ শাহজালাল খলিফা জানান, বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলার হিজবুত তওহীদের আমীরের দায়িত্বে রয়েছে উপজেলার সাকোকাঠী গ্রামের মৃত জয়নাল ওরফে সেদু মীরের পুত্র আব্দুল মান্নান মীর। তার অধীনে রয়েছে প্রশিক্ষিত সহস্রাধীক সদস্য-সদস্যা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে মান্নান মীরের স্ত্রী বকুল বেগমের (৫০) নেতৃত্বে প্রশিক্ষিত ২০ জন সদস্য-সদস্যরা আধুনা গ্রামে তাদের সংগঠনের আপত্তিকর লিফলেট, বই ও সিডি বিতরন করতে যায়।

আধুনা গ্রামের দুলাল খান, সোহাগ মৃধা, রাসেল খান, হাবিব সরদারসহ একাধিক ব্যক্তিরা জানান, হিজবুত কর্মীরা ইসলাম ধর্মে যা আছে তা সত্য নয় বলে দাবি করে। বর্তমানে যা সত্য তাহাই তারা প্রচার করার উদ্দেশ্যে দাজ্জাল ইহুদী খীষ্ট্রানের সভ্যতার আইন বাস্তবায়নের দাবিতে মাঠে নেমেছেন বলেও তারা দাবি করায় স্থানীয় মুসুল্লীরা ক্ষিপ্ত হন।

মুসুল্লী ও এলাকাবাসি হিজবুত কর্মীদের ইসলাম বিরোধী অপপ্রচারের প্রতিবাদ করায় হিজবুত কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামবাসিদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে হিজবুত কর্মীদের সাথে গ্রামবাসির ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় মুসুল্লীরা মসজিদের মাইকে হিজবুত প্রতিরোধের ঘোষনা দিয়ে গ্রামবাসিদের ঝাঁপিয়ে পরার আহবান করেন। গ্রামবাসি ঝাঁপিয়ে পরে হিজবুত কর্মীদের ধাওয়া করে ছয়জন মহিলা সদস্যাকে আটক করতে সক্ষম হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক সরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহজালাল খলিফার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটককৃতদের উদ্ধার করে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পুলিশ দক্ষিণাঞ্চলের আমীর মান্নান মীরের স্ত্রী বকুল বেগম (৫০), একই গ্রামের আব্বাস বেপারীর কন্যা বিথী আক্তার (১৮), মফসের খানের স্ত্রী মাহিনুর বেগম (৪২), মোবারক হাওলাদারের কন্যা নাজমুন নাহার বিথী (১৯), শাহজিরা গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী শাহনাজ বেগম (৪৫) ও ঝালকাঠীর নলছিটি এলাকার হারুন-অর রশিদের কন্যা আমেনা আক্তারের (১৮) কাছ থেকে বিপুল পরিমান জেহাদী আপত্তিকর বই, লিফলেট ও সিডি উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় এস.আই শাহ জালাল খলিফা বাদি হয়ে গৌরনদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

অপরদিকে একইদিন উগ্রপন্থি জঙ্গী সংগঠন হিজবুত তওহীদ সংগঠনকে নিষিদ্ধের দাবিতে আধুনা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় মুসুল্লী ও গ্রামবাসীরা।