বরিশালে যুবদলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে – সম্পাদকসহ ৫ জন আহত – একজন আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ বরিশালে বিবাদমান বিএনপির দু’গ্রুপের দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীন কোন্দলের জেরধরে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে যুবদলের দু’গ্রুপের মধ্যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এতে মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদকসহ কমপক্ষে ৫জন আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে একজনকে আটক করেছে।

বরিশালে যুবদলের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে - সম্পাদকসহ ৫ জন আহত - একজন আটকমহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান শামীম জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালনের জন্য অশ্বিনী কুমার হলের সম্মুখে নেতা-কর্মীদের নিয়ে জড়ো হলে সেখানে উপস্থিত প্রতিপক্ষের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটে। বিবাদমান যুবদলের মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান শামীম অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচী পালনের জন্য টাউন হলের সামনে গেলে মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ারের ক্যাডার বাহিনীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। শামীমের অভিযোগ, টাউন হলের সামনে উপস্থিত সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার জিয়া উদ্দিন সিকদার ও চরবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সাবুর নেতৃত্বে র‌্যাব ও পুলিশের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী রতন, কাউনিয়া এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোহাগসহ সশস্ত্র ক্যাডাররা যুবদল নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান শামীমসহ যুবদলের ৫জন নেতা-কর্মীরা আহত হয়।

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার ও মহানগর যুবদলের আহবায়ক জিয়া উদ্দিন শিকদার বলেন, একইস্থানে আমাদের কর্মসূচী চলাকালে কে বা কারা এসে বিশৃংখলা সৃষ্টি করার সময় আমি তাদেরকে শান্ত করেছি। কোনো হামলায় নেতৃত্ব দেয়নি। ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সাবু সর্বহারা সদস্যদের ভাড়া করে আনার কথা অস্বীকার করে জানান, তিনি একটি সভা থেকে সদর রোড অতিক্রমকালে বিএনপির দু’গ্র“পের সংঘর্ষের ঘটনা দেখে মটরসাইকেল থামিয়ে সেখানে নেমেছিলেন। মজিবর রহমান সরোয়ার বা আহসান হাবিব কামালের পক্ষ নিয়ে তিনি কোনো সংঘাতে লিপ্ত হননি বলেও উল্লেখ করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা সংঘাত নিরসনের উদ্যোগ নিলে তাদের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয় সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার জিয়া উদ্দিন শিকদার।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত কোতয়ালী মডেল থানার এসি প্রশান্ত কুমার দে জানান, সংঘর্ষে লিপ্ত এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তবে পেশাদার সন্ত্রাসী রতন ও সোহাগসহ অপর কোনো সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সভাপতি আহসান হাবিব কামাল জানান, মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার সন্ত্রাসের পথ ছেড়ে না আসলে এখানকার বিএনপির রাজনীতিতে সুস্থ ধারা ফিরে আসবে না। সংসদ সদস্য মজিবর রহমান সরোয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অশ্বিনী কুমার হলে কি নিয়ে কাদের সাথে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে তা আমার জানা নেই। আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ ধরনের বক্তব্য দেয়া হয়েছে।